মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ট্রাম্প-হিলারি ছাড়া আর কে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন?
হিলারি বা ট্রাম্প বাদেও আরও বেশ কয়েকটি দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একনজরে জেনে নিন কে কে আসলে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের একেবারে প্রথম থেকেই প্রচারের আলোয় রয়েছেন শুধু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। একেবারে শেষলগ্নে এসেও কিন্তু এই দুই দলের প্রার্থীদেরই রমরমা ভোটের বাজারে। মোটামুটি সকলেই ধরে নিয়েছেন যে এই দুই মহারথীর মধ্যেই কেউ একজন আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভ করে মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসাবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করবেন।
মার্কিন নির্বাচন নিয়ে এই মজার অথচ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি আপনি নিশ্চিত জানেন না
মার্কিন নির্বাচনে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করছেন কারা?
হিলারিই মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জিতছেন, আভাস পেতেই চাঙ্গা শেয়ার মার্কেট
ফলাফলের পর হয়ত হবেও তাই। কারণ মার্কিন রাজনীতি মূলত দ্বিদলীয়। ফলে রিপাবলিকান অথবা ডেমোক্র্যাট কেউ একজন মার্কিনিদের হাল ধরবেন তা বলাই বাহুল্য। তবে হিলারি বা ট্রাম্প বাদেও আরও বেশ কয়েকটি দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একনজরে জেনে নিন কে কে আসলে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে।
হিলারি ক্লিন্টন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি
৪৫তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি তথা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন। গতবারে বারাক ওবামার বিরুদ্ধে লিজের দলের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তবে সর্বসম্মত ও সর্বশেষ প্রার্থী পারেননি। এবারে ২৬ জুলাই ২০১৬তে বার্নি স্যান্ডার্সকে হারিয়ে প্রার্থীপদ লাভ করেন তিনি। এবং একেবারে প্রথম থেকেই প্রচারে তো বটেই, জেতার বিষয়েও আমেরিকানদের প্রথম পছন্দ হিলারি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প, রিপাবলিকান পার্টি
সফল ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবছর ১৯ জুলাই মার্কিন সেনেটর টেড ক্রুজকে হারিয়ে রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে উঠে আসেন। তবে প্রচারের প্রথম থেকেই বিতর্কিত নানা মন্তব্য করে ও নানা বিতর্কে জড়িয়ে কিছুটা পিছিয়েই পড়েছিলেন তিনি। তবে প্রচারের শেষ লগ্নে এসে অনেকটাই সামলে নিয়েছেন ট্রাম্প। তবে জিতবেন কিনা তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না। তবে জিতলে সবচেয়ে বয়স্ক রাষ্ট্রপতি হিসাবে তিনি শপথ নেবেন।
গ্যারি জনসন, লিবার্টেরিয়ান
লির্বাটেরিয়ান পার্টির তরফে এবছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নিউ মেক্সিকোর গভর্নর গ্যারি জনসন। তাঁর ব্যালট অ্যাকসেস রয়েছে ৫০টি প্রদেশে ও সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে। ফলে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গ্যারি জনসন এর আগে ২০১২ সালেও লির্বাটেরিয়ানের হয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জিল স্টেইন, গ্রিন পার্টি
প্রাক্তন ফিজিশিয়ান তথা গ্রিন পার্টি প্রার্থী জিল স্টেইনের ৪৪টি প্রদেশে ও সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্যালট অ্যাকসেস রয়েছে। তিনি মোট ৪৮০টি ইলেক্টোরাল ভোটে প্রতিনিধিত্ব করছেন। জিল স্টেইন এর আগে ২০১২ সালেও গ্রিন পার্টির হয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ড্যারেল ক্যাসেল, কনস্টিটিউশন পার্টি
পেশায় আইনজ্ঞ ৬৮ বছর বয়সী কনস্টিটিউশন পার্টি প্রার্থী ড্যারেল ক্যাসেল এর আগে ২০০৮ সালেও উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কনস্টিটিউশন পার্টির হাতে মোট ২০৭টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া, কলম্বিয়া, ম্যাসাচুসেটস, উততর ক্যারোলিনা, ওকলাহোমার মতো জায়গায় কনস্টিটিউশন পার্টির কোনও ব্যালট অ্যাকসেস নেই।
ইভান, ম্যাকমুলিন, ইন্ডিপেন্টেন্ট পার্টি
ইভান ম্যাতমুলিনের দল ইন্ডিপেন্টেন্ট পার্টিও এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মোট ৮৪টি ইলেক্টোরাল ভোটে তাদের ব্যালট অ্যাকসেস রয়েছে। তবে কলম্বিয়া, ফ্লোরিডা, ইন্ডিয়ানা, মিসিসিপি, নেভাদা, উত্তর ক্যারোলিনা, ওকলাহোমা, দক্ষিণ ডাকোটার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশে তাদের ব্যালট অ্যাকসেস নেই।
আরও বেশ কিছু দলের প্রার্থী
এই প্রধান দলগুলি বাদেও আরও বেশ কয়েকটি দলের যেমন- আমেরিকান ডেল্টা পার্টি, রিফর্ম পার্টি, আমেরিকাস পার্টি, আমেরিকান সলিডারিটি পার্টির বিভিন্ন প্রদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ব্যালট অ্যাকসেস রয়েছে। তবে এরা কেউই নির্বাচনে জেতার মতো অবস্থায় নেই। হয় রিপাবলিকান অথবা ডেমোক্র্যাট, এই দুই দলের কোনও একজন প্রার্থী এবারেও জয়লাভ করবেন।