গুলিবিদ্ধ হয়েও জঙ্গিদের খতম করেন শহিদ 'মেজর' কৌস্তভ, ফুল বিছানো পথে শেষবিদায়
ঘরে ফিরেছে শহিদের শবদেহ। আর মেজর কৌস্তভকে ঘিরে চোখের জলে, গর্বের সঙ্গে অনন্য সম্মান জানিয়েছে মুম্বইয়ের মীরা রোডের বাসিন্দারা।
ঘটনাস্থল কাশ্মীরের বন্দিপোরার গুয়ারেজ সেক্টর। শ্রীনগর থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূর। ভারতীয় সেনার সঙ্গে সেখানে তখন চলছে জঙ্গিদের গুলির লড়াই। রক্তপাত আর বারুদের গন্ধে তখন চারিদিক থমথমে। কাশ্মীর থেকে বহুদূরে মহারাষ্ট্রের প্রকাশ রানের পরিবার তখনও জানে না সীমান্তে তাঁদের ঘরের ছেলে মেজর কৌস্তভ কী অসামান্য দক্ষতায় লড়ে চলেছেন দেশের জন্য! আর দেশের জন্য় বীর বিক্রমে লড়াই করে তিনি শহিদ হয়েছেন।
এরপর ঘরে ফিরেছে শহিদের শবদেহ। আর মেজর কৌস্তভকে ঘিরে চোখের জলে, গর্বের সঙ্গে অনন্য সম্মান জানিয়েছে মুম্বইয়ের মীরা রোডের বাসিন্দারা।
|
মেজর-এর লড়াই
জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ের মাঝে ২৯ বছরের মেজর কৌস্তভের শরীরে ততক্ষণে ঢুকে গিয়েছে গুলি। যন্ত্রণা সহ্য করেও লডা়ই ছাড়েননি তিনি। হাতে থাকা বন্ধুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খতম করেছেন ২ জঙ্গিকে। এই বীর যোদ্ধার শৌর্যকে কুর্ণিশ জানিয়েছে গোটা দেশ।
|
ফুল বিছানো রাস্তা
সীমান্তে জঙ্গিদের সঙ্গে চরম বীরত্বে লড়াইয়ের পর শহিদ হন মেজর কৌস্তভ রানে। মুম্বইয়ের মীরা রোডের বাসিন্দাদের কাছে এখবর পৌঁছতে ,তাঁরা ঘরের ছেলেকে বরণ করে নেন অসামান্য সম্মান দিয়ে। কৌস্তভের শেষ বিদায়ে রাস্তায় বিছানো হয় ফুল।
|
ঘরে ফেরা
এমন তো কথা ছিলনা.. ঘরের ছেলে হাসিখুশি মুখেই ঘরে ফেরার কথা ছিল। তবে বীর শহিদের গর্ব বুকে নিয়ে ঘরে ফিরেছে কৌস্তভ রানের দেহ।
|
শেষ যাত্রা
কৌস্তভকে সেনার তরফে সম্মানের সঙ্গে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। ২৯ বছর বয়সী বীর শহিদ কৌস্তভকে সম্মান জানোন হয় মহারাষ্ট্র প্রশাসনের তরফেও।