লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সঙ্কটে বিজেপি! বিরোধী চালে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে গেরুয়া শিবির
বিহার ও উত্তরপ্রদেশে তিনটি লোকসভা উপনির্বাচনে হারের পরে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। উপনির্বাচনে বিরোধীদের জয়জয়কার হয়েছে। যা আসলে পাল্টা চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে মোদী সরকারকে।
বিহার ও উত্তরপ্রদেশে তিনটি লোকসভা উপনির্বাচনে হারের পরে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। উপনির্বাচনে বিরোধীদের জয়জয়কার হয়েছে। যা আসলে পাল্টা চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে মোদী সরকারকে। তার উপরে এন চন্দ্রবাবু নাইড়ুর টিডিপি এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। ফলে এখন যা অবস্থা তাতে লোকসভায় দল হিসাবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পথে বিজেপি।
নো-কনফিডেন্স মোশন
জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও এন চন্দ্রবাবু নাইড়ুর তেলুগু দেশ পার্টি লোকসভায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নো-কনফিডেন্স মোশন এনেছে। শুক্রবার পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি থাকায় সোমবার এই নিয়ে বিরোধীরা হট্টগোল শুরু করবে।
লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা
লোকসভায় এই মুহূর্তে বিজেপির একক আসন সংখ্যা ২৭৩টি। তার মধ্যে একটি স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের রয়েছে। তা বাদে সবমিলিয়ে ৩১৫টি লোকসভা আসন এনডিএ-র রয়েছে। তবে বিরোধীরা চেপে ধরলে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও থাকতে পারে বিজেপির। দাপট কমিয়ে জোট সঙ্গীদের উপরে ভরসা করতে হবে মোদী সরকারকে।
লাফিয়ে পড়েছে কংগ্রেস
ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও টিডিপি নো কনফিডেন্স মোশন আনার পরই নড়েচড়ে বসেছে কংগ্রেস। লোকসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৪৮। বিরোধী দলের তকমা পেতে গেলে ৫৪৩টি আসনে মধ্যে অন্তত দশ শতাংশ আসন পেতে হয়। সেটাও নেই কংগ্রেসের। তা সত্ত্বেও বিজেপির অস্তিত্ব সঙ্কটে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কংগ্রেস শিবির।
কংগ্রেসের অভিজ্ঞতা
এর আগেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারেকাছে না থেকেও কেন্দ্রে জোট সরকার চালিয়েছে কংগ্রেস। ২০০৪, ২০০৯ সালে সাম্প্রতিক অতীতে সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে রাহুলের দলের। তাছাড়া টিডিপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, জেডিএস, আরজেডি, সিপিএমের মতো দল তো বটেই শিবসেনাও লোকসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট করতে পারে।
বিজেপির ফল দলের নেতাদেরই
এখানে ঘটনা হল, বিরোধীদের শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কেন্দ্রে সরকারকে কাঁপাতে পারলেও ফেলা সম্ভব হবে না। কারণ বিজেপির কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তবে এখানেও একটি বিষয় উল্লেখ্য। তা হল, বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাঁচাতে যতজন সাংসদ প্রয়োজন ততজনের চেয়ে একজন বেশি অর্থাৎ ২৭২জনের বদলে ২৭৩জন রয়েছে। এখন দলবিরোধী বলে পরিচিত শত্রুঘ্ন সিনহা বা কীর্তি আজাদের মতো নেতারা যদি কোনওভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লোকসভায় ভোট দিয়ে ফেলেন তাহলে জোর গোলমাল শুরু হবে। অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে যাবে বিজেপি।
লোকসভায় নাটকীয় পরিস্থিতি
২০১৪ লোকসভা ভোটে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২৮২টি আসন দখল করেছিল। তবে পরপর উপনির্বাচনে হেরে আসন কমতে কমতে ২৭৩টিতে নেমে এসেছে। আর দুটি আসন রয়েছে 'নমিনেটেড' সদস্যদের। এই অবস্থায় আগামী সপ্তাহে লোকসভায় নোট নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় সেটাই এখন দেখার।