অতিরিক্ত গর্ভনিরোধক ওষুধ সেবনে হতে পারে অন্ধত্ব
উপরিউক্ত বক্তব্যে কোনও যুক্তি পাচ্ছেন না তো? আচ্ছা আর একটু পরিস্কার করে বললে বিষয়টা এইরকম, এই ধরণের গর্ভনিরোধক ওষুধের ব্যবহার গ্লুকোমার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। গ্লুকোমার ফলে অন্ধত্ব পর্যন্ত হতে পারে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এই তথ্যই উঠে এসেছে।
অতিরিক্ত গর্ভনিরোধক ব্যবহারে চোখের সমস্যার ঝুঁকি সাধরণের চেয়ে ২.৫ শতাংশ বেশি
গবেষকরা
জানাচ্ছেন,
চল্লিশোর্ধ
মহিলাদের
ক্ষেত্রে
এই
ঝুঁকির
গড়
সম্ভাবনা
অনেকটাই
কম।
তবু
মহিলাদের
গর্ভনিরোধনে
ওযুধ
দেওয়ার
ক্ষেত্রে
ডাক্তারদেরও
এই
চোখের
বিষয়টি
মাথায়
রাখতে
হবে।
চোখে
গ্লুকোমার
ক্ষেত্রে
জন্মনিয়ন্ত্রক
গুলি
বা
ক্যাপসুল
কী
ভূমিকা
নেয়
সে
বিষয়ে
স্পষ্টভাবে
কোনও
ধারণা
মেলেনি
এখনও।
বর্তমান
ও
পূর্ববর্তী
বেশ
কিছু
সমীক্ষার
ফলের
ভিত্তিতে
গবেষকরা
জানাচ্ছেন
ইস্ট্রোজেনের
মাত্রা
ও
চোখের
নানাবিধ
সমস্যা
ও
রোগের
মধ্যে
যোগসূত্র
রয়েছে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন দর্শন সংক্রান্ত স্নায়ু কোষ ইস্ট্রোজেন গ্রাহক হিসাবে কাজ করে। যা বয়সের সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিরহ্রাস নিয়ন্ত্রণে চোখকে রক্ষা করে। অনুমান করা হচ্ছে এই ধরণের গর্ভনিরোধক ওযুধ ইস্ট্রোজেনের মাত্রা চেপে দিয়ে এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে বাধাপ্রাপ্ত করে, যার ফল গ্লুকোমা।
চল্লিশোর্ধ ৩,৪০৬ জন মহিলাকে দীর্ঘদিন ধরে পর্বেক্ষণ করেছেন গবেষকরা। তাতে দেখা গিয়েছে তিন বছরের বেশি সময় ধরে যে মহিলারা গর্ভনিরোধক ওযুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে গ্লুকোমার ঝুঁকি ৫ শতাংশ রয়েছে, তুলনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ঝুঁকির পরিমাণ ২.৫ শতাংশ।
এমনকী যে সব মহিলাদের সময়ের আগেই ঋতুজরা হয় বা কোনও কারণে ডিম্বাশয় বাদ দিতে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রেও চোখের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা।