ভাইফোঁটার সময়-তিথি জানেন তো! শাস্ত্র অনুযায়ী 'ক্ষণ' জেনে নিন
উৎসবের মরশুম সবে মধ্যগগনে! দুর্গাপুজো , কালীপুজো কাটিয়ে এবার বাঙালির ব্যস্ততা বাড়ছে ভাইফোঁটা ঘিরে। দোকানো দোকানে মিষ্টি কেনার যেমন ভিড়, তেমনই ভাইয়ের জন্য জিভে জল আনা নানা রেসিপির ভাবনায় মগ্ন বোনেরা
উৎসবের মরশুম সবে মধ্যগগনে! দুর্গাপুজো , কালীপুজো কাটিয়ে এবার বাঙালির ব্যস্ততা বাড়ছে ভাইফোঁটা ঘিরে। দোকানো দোকানে মিষ্টি কেনার যেমন ভিড়, তেমনই ভাইয়ের জন্য জিভে জল আনা নানা রেসিপির ভাবনায় মগ্ন বোনেরা! ভাইবোনের আন্তরিক সম্পর্ক উদযাপনের এই উৎসব ঘিরে সাজো সাজো রব গোটা বাংলা জুড়ে। উৎসবের প্রাক্কালে দেখে নেওয়া যাক এই অনুষ্ঠান ঘিরে কিছু তথ্য।
ভাইফোঁটার সময়-ক্ষণ
রাত পোহালেই ভাইফোঁটা। ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বহু বাঙালি বাড়িতেই। শাস্ত্র মতে , ৯ নভেম্বর দুপুর ১:০৯ মিনিট থেকে ৩:১৭ মিনিট পর্যন্ত রয়েছে এই মুহূরত।
পৌরাণিক কাহিনি
শোনা যায়, পৌরাণিক কাহিনিতে বর্ণিত রয়েছে, যমরাজ এই দিন বোন যমুনার বাড়ি যান। আর দাদা যমকে পেয়ে আরতি সহকারে তাঁকে বাড়িতে স্বাগত জানান। এমন দিনে যমকে ফোঁটা দেন যমুনা। আর যমুনার দাদার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা দেখে যম এক অসামান্য উপহার দেন। তিনি বলেন, এমন দিনে যে সমস্ত ভাইরা তাঁদের বোনের থেকে ফোঁটা গ্রহণ করবেন, তাঁকে ছুঁতে পারবে না যমও।
ভাইফোঁটা ঘিরে বিশ্বাস
যম-যমুনার এই কাহিনি থেকে বিশ্বাস করা হয় যে, ভাইফোঁটার দিন ভায়ের কপালে ফোঁটা দিলে,যমের দুয়ারে বাঁধা পড়ে। আর ভাই দীর্ঘায়ু লাভ করে।
শ্রীকৃষ্ণ শুভদ্রার ভাইফোঁটা!
শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর বোন শুভদ্রা সম্পর্কে ও এক বিশেষ কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। বলা হয়, নরকাসুর দমনের পর ভাইফোঁটার দিন বোন শুভদ্রার কাছ থেকে শ্রীকৃষ্ণ ফোঁটা নেন। সেই থেকে ধুমধাম সহকারে পালিত হচ্ছে ভাইফোঁটা।