(ছবি) ম্যাগির পাশাপাশি আরও কিছু বিতর্কিত খাদ্যদ্রব্য
২ মিনিটের 'ম্যাগি নুডলস'নিয়ে উথালপাথাল দেশ। ম্যাগিতে অত্যধিক মাত্রায় এমএসজি ও সীসা থাকায় ম্যাগি বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধজ্ঞা জারি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
কিন্তু এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বিভিন্ন জনপ্রিয় খাদ্যদ্রব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অতীতে বিভিন্ন জনপ্রিয় সংস্থার খাদ্যদ্রব্য সরকারি আধিকদারিদের নজরদারিতে আসায় বিপাকে পড়তে হয়েছে সংস্থাগুলিকে।
এমনই কিছু বিতর্কিত খাদ্যদ্রব্যের তালিকা দেওয়া হল নিচে।
কেএফসি
এফএসএসএআই কেএফসি-র রিজো রাইস পরীক্ষা করে দেখেছিল তাতে অকৃত্রিম রং বহুল পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিল কেএফসি কর্তৃপক্ষ। পরে একাধিকবার কেএফসি-র জনপ্রিয় ফ্রায়েড চিকেনে সাদা পোকা পাওয়ার অভিযোগও উঠেছিল।
ক্যাডবেরি
২০০৩ সালে এক দম্পতি ক্যাডবেরি বারের মধ্যে ক্রিমি পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল মহারাষ্ট্রে। সংস্থার তরফে আত্মপজ্ঞ সমর্থনে বলা হয়েছিল উৎপাদনের সময়ে কোনও সমস্যা হয়নি, মজুতের সময়ই সমস্যা হয়েছিল। সরকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের তরফ থেকে বলা হয়েছিল সঠিক প্যাকেজিং এর অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে। পরে ক্যাডবেরির তরফে দামি যন্ত্র বিদেশ থেকে আনানো হয় আরও উন্নত প্যাকেজিং এর জন্য। যদিও এর পরেও কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় একইভাবে ক্যাডবেরি ডেয়ারি মিল্কে কৃমি পাওয়ার অভিযোগ এসেছিল।
কোলা জাতীয় পানীয়
২০০৬ সালে কোকা কোলা, পেপসি-র বিভিন্ন পানীয় কীটনাশক দ্রব্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এর আগেও ২০০৩ সালে বিদেশে একই অভিযোগ উঠেছিল। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভাইরোমেন্ট এই অভিযোগ তুলেছিল। গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশে কোকা কোলা, পেপসিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। নমুনা পরীক্ষার পর দেখা গিয়েছিল, পানীয়তে যে পরিমাণ অনুমোদনযোগ্য তার চেয়ে ২৪ গুণ বেশি পরিমান কীটনাশক ছিল। পরে রাজস্থান ও পাঞ্জাবেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। যদিও সংস্থার তরফে পুরো দায় চাপানো হয়েছিল কেরালার বোতলজাতকরনের কারখানার উপর।
চিপস
২০১২ সালে ম্যাগি, ম্যাকডোনাল্ড, কেএফসি, হলদিরাম আলভুজিয়া, লেজ চিপস-এর উপর অভিযোগ উঠেছিল দ্রব্যের প্যাকেটে ভুয়া দাবি এবং অর্ধেক তথ্য দিয়ে উপভোক্তা ও ক্রেতাদের বিপথে চালিত করা হচ্ছে। এই ধরণের খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট, নুন ও চিনির ব্যবহার করা হয়। যার ফলে স্থুলত্ব, ডায়বেটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে।
সাবওয়ে
সাবওয়ে স্যান্ডউইচের মধ্যে কৃমি চলতে ফিরতে দেখা দিয়েছিল। ২০১১ সালে মুম্বইয়ের এক মহিলা তাঁর ছেলের জন্য কেনা চিকেন টিক্কা সাবওয়েতে কৃমি পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। যদিও ওই দোকানের ম্যানেজের দায় চাপিয়েছিলেন সবজি সরবাহকারিদের উপর। এর পরে হায়দ্রাবাদেও এই একই অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল।
এর পাশাপাশি এখ ফুড ব্লগারের মামলার জেরে ফের খবরে আসে সাবওয়ে। তাঁর দাবি ছিল সাবওয়ে পাউরুটির মধ্যে থেকে যোগ ম্যাট কেমিক্যাল বাদ দেওয়া হোক।
ম্যাকডোনাল্ড
ম্যাকডোনাল্ডের খাবারে বহু অস্বাভিক জিনিস পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। কোল্ড কফিতে মরা ইঁদুর পাওয়ার অভিযোগ মিলেছে। বার্গারে কখনও দাঁতের টুকরো পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তো কখনও আবার পুরুষ বীর্য পাওয়া গিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। চিকেন নাগেটের মধ্যে প্লাস্টিকজাত পদার্থ মেলারও অভিযোগ উঠেছে বহুবার।