কেন্দ্রটি তাদের ঠিকই, কিন্তু বর্ধমান পূৰ্বতে তৃণমূলের জয়ের রাস্তা প্রশস্ত, সেটা বলা যাবে না
আগামী ২৯ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে যে'কটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তার মধ্যে রয়েছে বর্ধমান-পূর্ব। পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত এই কেন্দ্রটির আত্মপ্রকাশ ২০০৯ সালে, পুনর্বিন্যাসের পর।
আগামী ২৯ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে যে'কটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তার মধ্যে রয়েছে বর্ধমান-পূর্ব। পূর্ব বর্ধমান জেলায় অবস্থিত এই কেন্দ্রটির আত্মপ্রকাশ ২০০৯ সালে, পুনর্বিন্যাসের পর। বর্ধমান, কাটোয়া এবং দুর্গাপুর কেন্দ্রগুলি উঠে গিয়ে তার জায়গায় আসে বর্ধমান পূর্ব এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন দু'টি।
বর্ধমান জেলা বরাবর বামেদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত হলেও ২০১১ সালের পরিবর্তনের পরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনেও বামেরা খুব খারাপ করেনি এবং তাঁদের আশা, পুরোনো দূর্গে তাঁদের প্রত্যাবর্তনের কাজ ভালোই এগোচ্ছে। ২০০৯ সালে বামেরা বর্ধমান-পূর্ব কেন্দ্রটি ৬০,০০০ ভোটে জিতলেও ২০১৪তে তৃণমূল ১.১৪ লক্ষ ভোটে জিতে ছিনিয়ে নেয় সেটি বামেদের কাছ থেকে। বিজেপি সেখানে ২০০৯তে ৭১,০০০ ভোট পেলেও গতবার তা বাড়িয়ে নেয় ১.৭ লক্ষে।
তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন সুনীল কুমার মন্ডল
তৃণমূল এবারে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে দাঁড় করিয়েছে বিদায়ী সাংসদ সুনীল কুমার মন্ডলকেই। তাঁর বিপক্ষে লড়ছেন সিপিএম-এর ঈশ্বরচন্দ্র দাশ যিনি গতবার দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিলেন ৩৫ শতাংশ মতো ভোট পেয়ে। কংগ্রেস, যারা গত বিধানসভা ভোটে জেলায় বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করেছিল, এবারে টিকিট দিয়েছে সিদ্ধার্থ মজুমদারকে। আর গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্র থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি এবারে প্রার্থী করেছে পরেশ চন্দ্র দাশকে।
বর্ধমান পূৰ্বতে নদী ভাঙন বড় ইস্যু
তফসিলি জাতিদের জন্যে সংরক্ষিত বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে নদীর ভাঙন একটি বড় ইস্যু এবং স্থানীয় মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির উপরে খুব খুশি তা নয়। পরিকাঠামো নিয়েও সমস্যা রয়েছে। আর রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে তৃণমূল একপেশে দাপট দেখালেও এখানে রাজ্যের পুরোনো দুই শক্তি কংগ্রেস ও বাম কিন্তু এখনও পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক নয়। পাশাপাশি, শাসকদলের অন্তর্কলহের সমস্যাও রয়েছে এবং বিজেপির ধীরগতিতে উত্থানও কপালে ভাঁজ ফেলেছে তৃণমূলের। বিজেপি এবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে দিয়েও প্রচার চালিয়েছে দুই বর্ধমান জেলাতেই। বঙ্গের 'ধানের গোলা' বর্ধমানে তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।
বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে শেষ হাসি কে হাসে তা পরিষ্কার হবে আগামী ২৩ মে।
[আরও পড়ুন: রানাঘাটে ভোট ২৯ এপ্রিল: মনোনয়ন পর্বের নাটকের পরে বিজেপি কি পারবে তৃণমূলকে ধাক্কা দিতে?]
[আরও পড়ুন:লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত লেটেস্ট ছবি দেখতে হলে ক্লিক করুন]