মাত্র ১ ভোটে হেরে পড়ে গিয়েছিল বাজপেয়ীর ১৩ মাসের সরকারের
১৯৯৯ সালে আস্থা ভোটে হেরে এনডিএ সরকার পড়ে যায়।
১৯৯৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে মাত্র ১৩ দিন পদে থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরে আস্থা ভোটে হেরে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরে দাঁড়িয়েছিলেন। ঠিক সেভাবেই ১৯৯৯ সালেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেবারও আস্থা ভোটের সম্মুখীন হয়েছিল এনডিএ সরকার।
এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হলেও ফল একই ছিল। ততদিনে কেন্দ্রে ১৩ মাসের সরকার করা হয়ে গিয়েছিল বাজপেয়ীর। ১৯৯৯ সালে প্রয়াত জয়ললিতার নেতৃত্বে এআইএডিএমকে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসে। যার ফলে আস্থা ভোটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
[আরও পড়ুন: অটল বিহারীর সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্তটি কেমন ছিল! জানালেন আবেগঘন হৃতিক]
সেই ভোটাভুটিতে ফের একবার হেরে যান বাজপেয়ী। আর এবার হার হয় মাত্র ১টি ভোটের ব্যবধানে। আস্থা ভোটের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে কম মার্জিনে হার। ২৬৯টি ভোট পায় এনডিএ। বিরোধীরা পায় ২৭০টি ভোট। লোকসভার ইলেকট্রনিক বোর্ডে ফলাফল ঘোষণার পর বিরোধীপক্ষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। বাজপেয়ী একঝলক দেখে স্মিত হেসে ফলাফলকে স্যালুট জানান।
ভোটাভুটির আগে বিএসপি সভানেত্রী মায়াবতী বাজপেয়ীকে জানিয়েছিলেন যে তিনি এনডিএ-র সঙ্গেই থাকবেন। তাঁদেরই ভোট দেবেন। তবে সভা শুরু হতেই ইউ টার্ন নিয়ে মায়াবতী জানিয়ে দেন, সরকারের বিপক্ষে ভোট করবে তাঁর দল। এছাড়া এআইএডিএমকে ভোট দানে বিরত ছিল। ফলে ১৩ মাস সরকার চালানোর পরে বাজপেয়ীর সরকার পড়ে যায়।
[আরও পড়ুন:রাজীব গান্ধীর জন্যই বেঁচেছিলেন বাজপেয়ী! 'কৃতজ্ঞতা'য় ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্তের নজির ]
যদিও সেবছরই সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে লোকসভা ভোট হলে এনডিএ ফের জিতে সরকার গঠন করে। এবার প্রথম অ-কংগ্রেসী জোট কেন্দ্রে পুরো পাঁচ বছর ক্ষমতা ধরে রেখেছিল। আর তার কাণ্ডারী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী।