উত্তরপ্রদেশ সহ বাকী রাজ্যে গেরুয়া ঝড়, রাজ্যসভায় জায়গা মজবুত বিজেপির
এবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাল্লা ভারী করার সময় এসেছে বিজেপির। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি জয় পেয়েছে। যত বেশি আসনে জয়, ততই লাভ নরেন্দ্র মোদীর গেরুয়া শিবিরের।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে সরকারে এসেছে। তবে রাজ্যসভায় বরাবরই বিরোধীদলের শক্তি বেশি ছিল। সেজন্য গত কয়েকবছরে নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অথবা বিল পাশ করাতে গিয়ে বারবার ধাক্কা খেতে হয়েছে বিজেপিকে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি বারবার সরকারের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যসভায় এসে।[মোদী ঝড়ে উড়ে গেল 'সাইকেল', 'হাত' ধরে ভরাডুবির অখিলেশের]
তবে এবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাল্লা ভারী করার সময় এসেছে বিজেপির। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি জয় পেয়েছে। বেশি আসনে জয়ে লাভই বেশি নরেন্দ্র মোদীর গেরুয়া শিবিরের। কারণ উত্তরপ্রদেশে মোট ৩১টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে বিজেপির এই মুহূর্তে মাত্র ৩টি আসন রয়েছে। সমাজবাদী পার্টির ১৮টি, বহুজন সমাজ পার্টির ৬টি, কংগ্রেসের ৩টি ও নির্দলের ১টি রাজ্যসভা আসন রয়েছে।[১৯৫২-২০১৭ : উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাস একনজরে]
এদিকে রাজ্যসভার দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত রাজ্যসভায় বিজেপির মোট আসন সংখ্যা ৫৬টি। এনডিএ-র সম্মিলিত আসন সংখ্যা ৭৪। এদিকে কংগ্রেসের মোট আসন ৫৯টি। আর ইউপিএ-র মোট আসন ৬৫টি।[উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া ঝড় : কং-সপা-বসপাকে পিছনে ফেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বিজেপি]
রাজ্যসভায় আসন সংখ্যা যেহেতু বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা আসনের সম্মিলিত হিসাব অনুযায়ী ঠিক হয় তাই রাজ্যসভায় আঞ্চলিক দলগুলির একটা বড় প্রতিনিধিত্ব থাকে। বলা যেতে পারে জাতীয় দলগুলির বিরুদ্ধে প্রেসার গ্রুপ হিসাবে এই দলগুলি কাজ করে।[(ছবি) কেশব মৌর্য থেকে যোগী আদিত্যনাথ, উত্তরপ্রদেশের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকা ]
যেমন জনতা পরিবারের মোট আসন রাজ্যসভায় ১৫টি। এদিকে বাকী দলগুলি মিলিয়ে আসন দখল করে রেখেছে ৭৫টি। এর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (১৮টি আসন) [এদিনের হারের পরে আসন সংখ্যা কমবে], এআইএডিএমকে (১৩টি আসন), তৃণমূল কংগ্রেস ১১টি (আসন) বিজেডি (৮টি আসন)-র মতো দলগুলি বেশি আসন দখল করে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় মোট আসন ২৪৫টি। এর মধ্যে ২৩৩টি আসন বিভিন্ন রাজ্যনৈতিক দল থেকে নির্বাচিত সদস্যরা পেয়ে থাকেন। এছাড়া ১২ জন বাকী সদস্যদের রাষ্ট্রপতি বেছে নেন। এই সদস্যরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, সমাজ সেবার মতো ক্ষেত্র থেকে এসে রাজ্যসভায় সাংসদ পদ পান। এছাড়া প্রতিটি সদস্যই রাজ্যসভায় ৬ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।