দেশে তৈরি ট্যাঙ্কার, ফাইটার জেট ব্যবহারে অস্বীকার সেনাবাহিনীর, কারণ জানলে অবাক হবেন
ভারতে তৈরি সামরিক অস্ত্র ও যান ব্যবহার করতে চাইছে না দেশের সেনাবাহিনীই।
ভারতে তৈরি সামরিক অস্ত্র ও যান ব্যবহার করতে চাইছে না দেশের সেনাবাহিনীই। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি তেজসের 'লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট' ও 'অর্জুন মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক' ব্যবহারে সরাসরি অস্বীকার করেছে সেনা। বদলে বিদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধ বিমান সহ একাধিক সাজ-সরঞ্জামকে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' রুটের মাধ্যমে স্ট্যাটেজিক পার্টনারশিপ নীতির গ্রহণ করে এনে ব্যবহার করতে আগ্রহী ভারতীয় সেনা।
টেন্ডার তলব
গত সপ্তাহে সেনার তরফে প্রাথমিক টেন্ডার ইস্যু করা হয়েছে। বিশ্বের তাবড় অস্ত্র সরবরাহকারী গোষ্ঠীর কাছে ১৭৭০টি ট্যাঙ্কের জন্য টেন্ডার চাওয়া হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে যাতে শত্রুকে সহজেই ঘায়েল করা যায়, এই ট্যাঙ্কারগুলি সেই ক্ষমতাসম্পন্ন।
সিঙ্গল ইঞ্জিন ফাইটারের আবেদন
এর পাশাপাশি বায়ুসেনার পক্ষ থেকে ১১৪টি সিঙ্গল ইঞ্জিন ফাইটার জেটের জন্য খুব তাড়াতাড়ি আবেদন করা হবে। তার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। অথচ ভারতীয় প্রযুক্তিতে ভরসা রাখছেন না বায়ুসেনার আধিকারিকেরা।
যুদ্ধবিমানে ভরসা নেই
কেন ভারতীয় যুদ্ধবিমানে ভরসা নেই, এই প্রশ্নে দেখা যাচ্ছে, এই যুদ্ধবিমানগুলি সঠিকভাবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। লক্ষ্যবস্তুর রেঞ্জ ও শক্তি মাত্র ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে। বেশি অস্ত্র একলপ্তে রাখা যায় না। যার ফলে বিদেশ থেকে যুদ্ধবিমান আমদানি করতেই বেশি স্বচ্ছ্বন্দ্য ভারতীয় বায়ুসেনা।
ট্যাঙ্কও পছন্দ নয় ভারতীয় সেনার
একই সমস্যা ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অর্জুন মেন ব্যাটল ট্যাঙ্কের। এই ট্যাঙ্কারগুলির ওজন অনেক বেশি। ৬২-৬৭ টন। যার ফে উত্তর দিকে অংশ বা পাঞ্জাব প্রদেশ পেরিয়ে তা সীমান্তে পৌঁছনো যাচ্ছে না। ওজন বেশি হওয়ায় ব্রিজ পার করানো যাচ্ছে না। যা অন্যতম বড় সমস্যা। তাছাড়া এগুলির পরিষেবা ততোধিক ভালো নয়, একেবারে সোজা বোমা বা মিসাইল ছুঁড়তেও পারদর্শী নয়।
সেনার অনড় অবস্থান
এখন ঘটনা হল, ডিআরডিও, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের মতো সংস্থা যুদ্ধযান সরবরাহ করতে চাইছে। তবে ভারতীয় সেনা ফিল্ড ট্রায়াল না দিয়ে কোনও কিছু অর্ডার করতে রাজি নয়। সেক্ষেত্রে বারবার করে কম পারদর্শিতার কথাই তুলে ধরে সেনা বিদেশি যুদ্ধাস্ত্র বা যুদ্ধযান কেনার বিষয়ে তদ্বির করছে।