এই ভারতীয় তরুণ নিজেকে এই দেশের রাজা বলে ঘোষণা করলেন, চমকে গেল বিশ্ব
এক ভারতীয়-র অনবদ্য কাহিনী। এমন ঘটনা ঘটালেন যে চমকে গেল বিশ্ব
এ যেন মন্দার বোসের জীবন্ত সংস্করণ। সত্যজিৎ রায়ের কলমে যিনি ভূপর্যটকের ভাবনা বাঙালিকে দেখিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য মিথ্যাবাদী ভূপর্যটক ছিলেন। তবে ইনি সত্যি ভূপর্যটক। পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার সুযশ দীক্ষিত সম্প্রতি একটি দেশের রাজা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
[আরও পড়ুন:ভারতীয় মানেই এই কুসংস্কারগুলি কোনও একটি আপনি মেনে চলবেনই]
সুযশ দীক্ষিত কে
ফেসবুক প্রোফাইল যা বলছে তাতে হট অ্যান্ড হ্যাপেনিং সুযশ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সফটিনেটর বলে মার্কিন একটি তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানির সিইও তিনি। এর আগে কাজ করেছেন মাইক্রোসফট , জোমাটো-র মতো কোম্পানিতে।
ভূপর্যটক সুযশ
তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে ঢুকলেই চোখে পড়বে একাধিক বেড়াতে যাওয়ার ছবি। পৃথিবীর বিভিন্ন সুন্দর জায়গায় ঘুরে বেড়ানো তার পেশা।
ব্যতিক্রমী সুযশ
এ পর্যন্ত আর পাঁচটা তরুণের সঙ্গে তাঁর কোনও পার্থক্যই ছিল না। কিন্তু ভারতীয় এই তরুণ একটি নতুন নো ম্যানস ল্যান্ডে নিজের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন।
রাজত্ব কোথায় স্থাপিত হল
আসলে মিশর ভ্রমণে গিয়েছিলেন এই তরুণ ,সেখান থেকে বির তওয়াইয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেন তিনি। মিশর ও সুদানের মধ্য়ে-র এই জায়গা কোনও দেশের আওতায় পড়ে না।
বিপদ পদে পদে
বহু অনুরোধের পর একটি গাড়ি এই বির তওয়াইে যেতে রাজি হয়। যেহেতু জায়গাটি কোনও দেশের মধ্যে পড়ে না, তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো কোনও ব্যবস্থাই এখানে নেই। মিলটারিরা বলে দিয়েছিলেন, এখানে গেলে মিলিটারি আউটপোস্টের কোনও ছবি তোলা যাবে না, একদিনের মধ্যে ফিরে আসতে হবে, নিয়ে যাওয়া যাবে না কোনও মূল্যবান সামগ্রী।
তবুও অজানার টানে ছুটে যাওয়া
তবুও সব শর্ত মেনে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যান সুযশ। এবং তারপর নিজেকে সেখানের রাজা ঘোষণা করেন। নিজের দেশের জাতীয় পতাকা থেকে জাতীয় প্রাণী টিকটিকি অবধি সবই জানিয়ে দিয়েছেন ফেসবুকে। তাঁর পাশাপাশি নিজের ভাইকে দেশের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী, সামরিক প্রধান, এবং বাবাকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে দেশের রাষ্ট্রপতি পদ তুলে দিয়েছেন।
কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হল রাজত্ব
৬ ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যান সুযশ। তারপর নিজের দেশের একটি পতাকা ও কিছু গাছের বীজ বপন করে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে আসেন। এখানের অনুর্বর , মরভূমিতে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে উৎপাদক এবং বাসযোগ্য অঞ্চলে পরিণত করবেন বলে দাবি এই ভারতীয় ভূপর্যটকের। পাশাপাশি বিষয়টিতে সরকারি স্বীকৃতি পেতে ইউএন কে মেল করবেন বলেও জানিয়েছেন।
নিয়ম কী বলছে
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে একমাত্র কোনও রাজ্য বা দেশই কোনও জায়গার অধিকার দাবি করতে পারে। কোনও দেশ নয়।
এর আগেও এই জায়গায় রাজত্ব প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে
এর আগে এক আমেরিকান নিজের মেয়েকে এই অঞ্চলের রাজকুমারী বানানোর লক্ষ্যে এখানে এসেছিলেন। 'কিং দীক্ষিতই' প্রথম ব্যক্তি নন এখানে রাজত্বের দাবিদার হিসেবে।