সাধারণের চেষ্টা! প্রাণে বাঁচল ছোট্ট কানিশ্রী
ছোট্ট কানিশ্রীর হৃদযন্ত্রে সফর অস্ত্রপচারে খুশি তার বাবা রাজেশ। খুশির হাওয়া তার গোটা পরিবারেই। মেয়ের হৃদযন্ত্রের অস্ত্রপচারের জন্য সাহায্যকারীদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর এই বাসিন্দা।
ছোট্ট কানিশ্রীর হৃদযন্ত্রে সফর অস্ত্রপচারে খুশি তার বাবা রাজেশ। খুশির হাওয়া তার গোটা পরিবারেই। মেয়ের হৃদযন্ত্রের অস্ত্রপচারের জন্য সাহায্যকারীদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনামের আন্নানগরের বাসিন্দা রাজেশ।
তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনামের আন্নানগরের বাসিন্দা রাজেশের ছোট মেয়ের জন্মের পরের থেকেই হৃদযন্ত্রে ত্রুটি ছিল। অসহায় ছিলেন রাজেশ। কেননা ছোট্ট সন্তানের হৃদযন্ত্রে ত্রুটি নিয়ে জন্মেছিল। আর অস্ত্রপচার ছাড়া তাকে বাঁচানো সম্ভব ছিল না। অস্ত্রপচারে যে টাকার কথা বলা হয়েছিল, তা দেওয়ার মতো ক্ষমতাও ছিল না বাবা রাজেশের।
কানিশ্রী জন্ম ২০১৭-র মে মাসে। যখন তাকে পোলিও খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, চিকিৎসকরা দেখেন ছোট্ট শিশুর হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে চলছে না। পরামর্শ মতো রাজেশ ও তাঁর স্ত্রী কানিশ্রীকে নিয়ে যান চেন্নাই অ্যাপলো হাসপাতালের স্বাস্থ্য শিবিরে। স্বাস্থ্য শিবির বিনামূল্যে হওয়ায় ডায়াগনসিসের কোনও খরচই লাগেনি। সেইসময় কানিশ্রীর বয়স ছিল খুব বেশি হলে ২২ দিন।
স্বাস্থ্য শিবির থেকে জানানো হয়েছিল কানিশ্রীর অস্ত্রপচারের প্রয়োজন। যার জন্য লাগবে ৫ লক্ষ টাকা। সেই টাকা যে নিজে থেকে দিতে পারবেন না তা ভাল করেই জানতেন রাজেশ। ফলে ছোট্ট কানিশ্রীকে বাঁচাতে আবেদন-নিবেদনের পর্ব চলতে থাকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন জায়গায়।
একবছর পেরিয়ে গেলেও টাকা যোগার করে উঠতে হিমশিম খেতে হয় রাজেশকে। এদিকে সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে যোগার করতে হয় নামি-দামী সব ওষুধ। কোনও কোনও সময় দেহ নীল হয়েও যেতে দেখেছেন পরিবারের সদস্যরা। একসময় সব আশাই শেষ হতে বসেছিল।
হঠাৎই বেশ কয়েকজনের উদ্যোগে কানিশ্রীর নতুন জীবন ফেরানোর উদ্যোগ শুরু হয়। শতাধিক মানুষ এগিয়ে আসেন সাহায্যের জন্য। ২৬২ জন প্রায় ৪ লক্ষ টাকা তুলে দেন রাজেশের হাতে। এই টাকা উঠেছিল মাত্রা ২ সপ্তাহের মধ্যে।
২৫ জুন ছোট্ট কানিশ্রীর অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়। পরবর্তী ৫ দিন তাকে পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারে রাখা হয়। পরে আস্তে আস্তে কানিশ্রীর পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে।
কানিশ্রী এখন খুবই হাসিখুশি, অন্য সব শিশুদের মতো। আর কানিশ্রীর বাবা রাজেশ বলছেন, তার দুই মেয়েই হাসছে এবং একইসঙ্গে খেলাধূলা করছে। জন্মের পর থেকে এই প্রথমবার। যাঁরা কানিশ্রীর সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজেশ।
[আরও পড়ুন:প্রথম ছেলেকে হারানোর পর, গরিব এই শ্রমিক দ্বিতীয় সন্তানকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করছেন]
[আরও পড়ুন:৩ টি সার্জারির পরও একবছরের শিশু প্রত্যেক নিঃশ্বাসের জন্য যুদ্ধ করছে]
দুই শিশু কঠিন সময়কে জয় করেছে। কিন্তু ২ জনেরই ফের সাহায্যের প্রয়োজন। তাদেরও সাহায্য করা হবে বলে আশা রাখছেন রাজেশ।
জনগণের সাহায্যে এবং ভগবানের আশীর্বাদে এই দুই শিশু লড়াই করেছে এবং সময়ের সঙ্গে বেঁচেও গিয়েছে। দুই শিশু ভীর ও ধনশ্রীর জন্য সাহায্যের দরকার। সাহায্য পেলে দুটি শিশুই কানিশ্রীর মতোই তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।
RECOMMENDED STORIES