উজ্জ্বলা যোজনা: দেখে নেওয়া যাক কতটা এগিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই এলপিজি পরিষেবা প্রকল্প
এলপিজি গ্যাস সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম উদ্যোগ উজ্জ্বলা যোজনা । এই যোজনার অন্তর্গত থেকে দেশের বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারগুলিকে ৫ কোটি এলপিজি গ্যাসের পরিষেবা দেওয়া কথা
এলপিজি গ্যাস সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম উদ্যোগ উজ্জ্বলা যোজনা । এই যোজনার অন্তর্গত থেকে দেশের বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারগুলিকে ৫ কোটি এলপিজি গ্যাসের পরিষেবা দেওয়া কথা ঘোষমা করে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের এই যোজনা নিয়ে বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ উজ্জ্বলা যোজনা?
দেশের একটা বড় অংশের মানুষ এখনও পর্যন্ত কেরোসিন, কাঠের চুল্লি কয়লা, বা ঘুটে দিয়ে রান্না ঘরের চুল্লি জ্বালিয়ে থাকেন। ফলে সেই সমস্ত পরিবারকে এলপিজি মুখী করাটা আবশ্যিক।
এলপিজি মুখী করার কিছু কারণ
প্রথমত, এলপিজি গ্যাসে রান্নার ফলে বাতাসে কার্বন নির্গমের পরিমাণ কমবে। দ্বিতীয়ত, বাড়ির ভিতরে দূষণ ছড়ানোর পরিমাও কমবে। পুনরো পন্থায় চুল্লির রান্নায় , যে ধোঁয়া বের হয়, তার ধোঁয়া ৪০০টি সিগারেটের ধোঁয়ার সমান ক্ষতিকারক। WHO এর মতো সংস্থা জানিয়েছে যে ৫ লাখ মহিলা দেশে এই ধরণের চুল্লিতে রান্না করে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন।
উজ্জ্বলা যোজনার কাজ কতদূর এগিয়েছে?
সবেমাত্র একবছর হয়েছে এই যোজনার। তার মধ্যেই দেশের ৬৯৪টি জেলায় এই যোজনার প্রভাব পড়েছে। ২.২ কোটিরও বেশি গৃহস্থে এই পরিষেবা পৌঁছেছে। গত এক বছরে দেশে ১০ শতাংশ বেড়েছে এলপিজি ব্যবহার। বর্তমানে দেশের ১০টির মধ্যে ৭টি বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে এলপিজি সংযোগ। এবিষয়ে সরকারের যা লক্ষ্যমাত্রা ছিল তাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে প্রতি গৃহস্থে এলপিজি সংযোগের পরিমাণ।
আর্থিক বিনিয়োগ
এলপিজি পরিষেবার উজ্জ্বলা যোজনার জন্য প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশে প্রায় ১.০৫ কোটি এলপিজি গ্রাহকরা, দামের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই নিজের অংশের ভর্তুকি ছেড়ে দিয়েছেন।
এরপর কী ?
প্রথম আর্থিক বছরের হিসাবে এই যোজনা অনেক ক্ষেত্রেই উৎসাহব্যাঞ্জক। যতদিন এই সরকারি উদ্যোগ এগোবে এরসঙ্গে যুক্ত হবেন আরও বহু মানুষ। তবে অনেক নিম্নবিত্ত মানুষ , যাঁরা কাঠের চুল্লি বা ঘুটে দিয়ে চুল্লি জ্বালান তাঁরা অর্থিক খরচের ভয়ে এলপিজি সিলিন্ডার ব্য়বহার করতে চাননা। তাঁদের আরও বেশি করে এলপিজি গ্যাস মুখী করাটাও অনেকটাই বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের পক্ষে। তবে যোজনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করলে ভবিষ্যতের জন্য তা সুফল দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
(এই প্রতিবেদনের লেখক নীতিন মেহতা ,রণনীতি কনসাল্টিং অ্যান্ড রিসার্চের ম্যানেজিং পার্টনার। অপর লেখক প্রণব গুপ্তা একজন গবেষক।)