ভারতে মাংসাশী ব্যক্তিদের এবার চোকাতে হতে পারে আলাদা 'ট্যাক্স'
পরিবেশবিদেরা সুপারিশ করেছেন, মাংস উৎপাদনের পুরো খরচই ক্রেতাদের ঘাড়ে ঠেলার জন্য।
অতিরিক্ত মাংস খাওয়া ও ধূমপান দুটোই পরিবেশের বিপদ ডেকে আনছে। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও বিপদের ঘণ্টা বাজতে পারে অতিরিক্ত মাংস ও ধূমপানে অভ্যস্ত হলে। মাংসের মাত্রাতিরিক্ত উৎপাদনের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ বেড়ে যাচ্ছে। প্রোটিন উৎপন্ন করতে গিয়ে বেশি মাত্রায় জমি ও জম ব্যবহার হচ্ছে। যা পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত করছে।
এর পাশাপাশি ধূমপানের ফলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রচুর খরচ বহন করতে হচ্ছে আম আদমিকে। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়।
নতুন রিপোর্ট সামনে এসেছে যেখানে পরিবেশবিদেরা সুপারিশ করেছেন, মাংস উৎপাদনের পুরো খরচই ক্রেতাদের ঘাড়ে ঠেলার জন্য। ঠিক যেভাবে ধূমপায়ীদের এখন অতিরিক্ত কর দিয়ে সিগারেট অথবা বিড়ি কিনতে হয়, সেভাবেই আগামিদিনে মাংস কিনতে গেলে করের ফলে ধার্য অতিরিক্ত দাম চোকাতে হবে।
যার অর্থ একটাই, ঘুরিয়ে নিরামিষাশী হতে বলা। যদিও তা নিয়ে সরাসরি কোনও বক্তব্য পেশ করা হয়নি। বলা হচ্ছে, উদ্ভিজ্জ ডায়েট বেশি করে গ্রহণ করতে যাতে পৃথিবীতে বেশিদিন সুস্থ রাখা যায়।
সারা পৃথিবীতে ১৮০টি দেশে তামাকজাত দ্রব্যের উপরে কর বসানো আছে। ৬০টি দেশে কার্বন কর রয়েছে। ২৫টি দেশে চিনির উপরে কর রয়েছে। নতুন 'মাংস কর' শুরু হলে তা থেকে আসা টাকা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবনা রয়েছে।
সারা বিশ্বের মোট মাংস উৎপাদনের ৪০-৪৫ শতাংশ এশিয়াতে হয়। ভারত তার মধ্যে অন্যতম। তবে পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা এটাও স্বীকার করেছেন যে অপুষ্টি যে সমস্ত দেশে রয়েছে সেখানে গোমাংস, শুয়োরের মাংস অথবা পোলট্রিজাত মাংস খেলে প্রোটিনের অভাব সহজেই ঢেকে ফেলা যায়।
ভারতে যেমন বহু ভাষা ও ধর্মের মানুষ রয়েছেন। সকলের খাদ্যাভ্যাসও একে অপরের থেকে ভিন্ন। সেক্ষেত্রে অনেকে নিরামিষাশী হলেও বহু মানুষই আমিষ খাবার খেতে পছন্দ করেন। এই সুপারিশে ভারত সরকার কর্ণপাত করলে পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, সেটাই এখন দেখার।