(ছবি) সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার আগে এই ৭টি জিনিস মাথায় রাখবেন!
ব্যাঙ্কিং পরিষেবা আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রত্যেক ব্যাঙ্কেই সেভিংস অ্যাকাউন্ট পরিষেবা দেওয়া হয় উপভোক্তাদের জন্য। কিন্তু ব্যাঙ্ক নির্বিশেষে এই পরিষেবারও নানা তারতম্য হয়। যদিও সমস্ত ব্য়াঙ্কগুলির পরিষেবাতেই নজর রাখে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। [আপনি হয়তো জানেন না এই পরিষেবাগুলোর জন্যও আপনার টাকা কাটে ব্যাঙ্ক!]
কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর বর্তমান ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় সন্তুষ্ট না হন, এবং যদি অন্য কোনও ব্যাঙ্কে আপনার নতুন সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে তার আগে এই ৭টি জিনিস মাথায় রাখুন। [(ছবি) আধার নম্বর না থাকলে এই সুবিধাগুলো হাতছাড়া হতে পারে আপনার!]
সুদের হার
বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বিভিন্ন সুদের হার হয়ে থাকে। ইয়েস ব্যাঙ্কে ৩,০০,০০০ টাকার বেশি হলে সুদের হার বছর প্রতি ৬ শতাংশ। আবার কোটাক মহিন্দ্রার ক্ষেত্রে সুদের হার ১ লক্ষ টাকার বেসি হলে ৬ শতাংশ এবং ১ লক্ষ টাকার কম হলে ৫ শতাংশ।
অন্যান্য ব্যাঙ্ক যেমন আইসিআইসিআউ, এইচডিএফসি এবং এসবিআই-তে সুদের হার বছর প্রতি ৪ শতাংশ।
ন্যূনতম ব্যালেন্স
অনেক বেসরকারি ব্যাঙ্কই বেশি পরিমান টাকা ন্যূনতম ব্যালেন্স হিসাবে রাখার নিয়ম করেছে। যেমন এইচডিএফসি এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ন্যূনতম ব্যালেন্স হিসাবে ৫,০০০ টাকা ও ১০,০০০ টাকা ধার্য করেছে। অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ন্যূনতম এই টাকা রাখতে হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
তবে এসবিআই, কানাড়া ব্যাঙ্কের মতো ব্যাঙ্কগুলিতে ন্যূনতম ব্যালেন্স ১০০০ টাকা। তবে কেউ যদি ন্যূনতম পরিমান টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে রাখতে ইচ্ছুক না হয়, তাহলে তারা 'বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিট অ্য়াকাউন্ট' খুলতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অনেক পরিষেবা বা সুবিধা নাও পেতে পারেন।
পরিষেবার মান
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির পরিষেবার মান উন্নত হয় অথচ তার জন্য মূল্য প্রায় সমান। অন্যদিকে সরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে মূল্য কিছুটা কম হলেও পরিষেবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ চাপ তৈরি করে।
ঠিকানা
এমন ব্যাঙ্ক বেছে নিন যার অফিস আপনার অফিস বা বাড়ির কাছাকাছি রয়েছে। কারণ যে শাখা অফিস থেকে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন সেই শাখা অফিস থেকে লেনদেন করলে তার জন্য অপেক্ষাকৃত কম চার্জ লাগে।
এটিএম সংখ্যা
নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক এটিএম-এর বিনামূল্যে ব্যবহারের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। তাই নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি বার লেনদেনের জন্য এটিএম ব্যবহার করলে তার জন্য টাকা কাটবে ব্যাঙ্ক। তাছাড়া যে ব্যাঙ্কের সঙ্গে আপনি যুক্ত হতে চাইছে সেই ব্যাঙ্কের এটিএম আপনার শহরের বাইরে দেশের অন্য রাজ্যে আছে কি না বা কত পরিমানে রয়েছে তাও যেনে রাখা প্রয়োজন।
অ্যাপ
ব্যাঙ্কের কাজ সারার জন্য ব্যাঙ্কিক অ্যাপ হল সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। আপনি যেই ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলছেন সেই ব্যাঙ্কের ইউজার ফ্রেন্ডলি অ্যাপ আছে কি না তা দেখে নিন। এতে টাকা স্থানান্তরিত, বিলের টাকা দেওয়া সংক্রান্ত কাজ ঝটপট হয়ে যায়।
অতিরিক্ত সুবিধা
এছাড়াও দেখে নিন ব্যাঙ্কে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট, বিমা প্রকল্প, লকার পরিষেবার মতো সুবিধাগুলি আছে কি না।