ভারতে দশম শ্রেণি পাশ করার পরই পড়াশোনায় ইতি টানে ৪৭০ লক্ষ ছেলেমেয়ে!
ভারতে আগের চেয়ে শিক্ষিতের গড় অনেকটা বেড়েছে। বেড়েছে স্কুলে পড়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যাও। তবে তা যথেষ্ট নয়। মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক ছাড়ার পরই এদেশে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা ছেড়ে দেয় বলে রিপোর্ট দিয়েছে ইউনেস্কোর অধীনস্ত 'ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিস্টিক্স অ্যান্ড গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং' নামে একটি সংগঠন। ['ভালো দেশ' এর তালিকায় ভারত ৭০ নম্বরে, সবার সেরা সুইডেন]
২০১৬ সালের নতুন রিপোর্ট বলছে, দশম শ্রেণি পাশ করার পর স্কুল ছেড়ে দেয় ৪ কোটি ৭০ লক্ষ ছেলেমেয়ে। রিপোর্ট বলছে, দশম শ্রেণিতে যেখানে ভর্তির সংখ্যা গড়ে ৭৭ জন থাকে। সেটা একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে ৫২ শতাংশে নেমে আসে। [আধুনিক ভারতে এখনও ক্রীতদাস প্রথায় বাধ্য ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ]
তবে রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ২০০৮-০৯ সালের থেকে এখন স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেকটা কমে এসেছে। ২০১২-১৩ সালে উচ্চশিক্ষায় ছেলেদের ভর্তির সংখ্যা ১৩ শতাংশ ও মেয়েদের সংখ্যা ২১ শতাংশ বেড়েছে। [যৌন দাসত্বের কারবারে ভারতের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ]
আর একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে গত এক দশকে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে দুঃখের বিষয়, ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সী প্রায় ৬০ লক্ষ ছেলেমেয়েদের এখনও স্কুলমুখী করা যায়নি। [ইসরোর 'স্পেস শাটল' নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি অবশ্যই জেনে নিন]
এক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও রাজস্থানের মতো রাজ্যে স্কুল না যাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। উত্তরপ্রদেশে যেমন ১৬ লক্ষ ছেলেমেয়ে স্কুলছুটের তালিকায় রয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০০১ সালের তুলনায় ২০১১ সালে ভারতে যুব বয়সীদের সংখ্যা ১৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারদের সংখ্যা ১৮ শতাংশ বেকারত্বের শিকার। এই সংখ্যাটা আন্তর্জাতিক গড়ের চেয়ে ৫ শতাংশ হারে বেশি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে 'প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা' প্রকল্পের অধীন ২৯টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পের যোগ্যতার মাপকাঠি নূন্যতম উচ্চ মাধ্যমিক পাশ অথবা তার বেশি পাশ হতে হবে। এভাবে যদি স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।