মোদী সরকারের এই সাফল্যকে বিরোধীরাও কুর্ণিশ করতে বাধ্য হয়েছে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে যেভাবে মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় কাজ করেছে তা এককথায় প্রশংসার যোগ্য।
সম্প্রতি কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের চার বছর পূর্তি হল। গত চারবছরে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে মোদী সরকারের আমলে। সাফল্য-ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে কেটেছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে যেভাবে মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় কাজ করেছে তা এককথায় প্রশংসার যোগ্য। এই সাফল্যকে বিরোধীরাও কুর্ণিশ জানাতে বাধ্য হবেন।
কেন্দ্র সরকার মাওবাদী উপদ্রুত এলাকা ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ দমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য বলছে, অতি বাম উগ্রপন্থা কবলিত এলাকায় আগের চেয়ে হিংসা কমেছে। ৬৫২৪টি ঘটনা থেকে কমে তা ৪১৩৬টি ঘটনায় নেমে এসেছে। হ্রাস পেয়েছে ৩৬.৬ শতাংশ।
রাস্তা তৈরিতে উদ্যোগ
মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় উন্নয়নে কেন্দ্র ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রোড 'কানেক্টিভিটি প্রোজেক্ট ফর লেফ্ট উইং এক্সট্রিমিজম এফেক্টেট এরিয়া' নামে প্রকল্প শুরু করে। ৪৪টি জেলায় ৫৪১২ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা শুরু হয়। এতে প্রস্তাবিত খরচ ১১৭২৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৩৭৭৫.৫৬ কিলোমিটার রাস্তার টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রের বিশেষ সাহায্য
আর একটি নতুন প্রকল্প তৈরি করে বছরে ১ হাজার করে তিন বছরে ৩ হাজার কোটি টাকা সাহায্য করা হচ্ছে মাও উপদ্রুত ৩৫টি জেলাকে। ইতিমধ্যে কয়েকশো কোটি টাকা এই প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার দিয়েও দিয়েছে। মূল উদ্দেশ্য পিছিয়ে পড়া এই জেলাগুলির মানোন্নয়ন করা।
উপদ্রুত এলাকায় কমিটি গঠন
মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিবের অধীনে কমিটি তৈরি করে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ও যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে তার অগ্রগতি বজায় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে দুটি কমিটি গড়া হয়। কমিটি ফর উইজ অব কাটিং এজ টেকনোলজি। আর কমিটি ফর কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর। এই দুই কমিটি ইতিমধ্যে রিপোর্ট জমা করে দিয়েছে।
অভাবনীয় সাফল্য
হিংসার ঘটনা ৬৫২৪টি থেকে কমে ৪১৩৬টি ঘটনায় নেমে এসেছে। মৃত্যুর হার ৫৫.৫ শতাংশ কমে এসেছে। ২৪২৮ থেকে কমে হয়েছে ১০৮১টি। আত্মসমর্পণের ঘটনা ১৩৮৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩৭৩টি। মাওবাদী এনকাউন্টারে সাফল্য ৪৪৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১০টি।
অনুদান বৃদ্ধি
আত্মসমর্পণ করলে উচ্চ পদমর্যাদার মাওবাদী নেতাদের সঙ্গে সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। যা আগে ছিল আড়াই লক্ষ টাকা। মধ্যমানের নেতাদের ২.৫ লক্ষ টাকা ও মাসিক স্টাইপেন্ড ৬ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মাওবাদী হামলায় নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও নিহত সেনা জওয়ানদের পরিবারকে ৩ থেকে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে।