১৩ দম্পতি বর্ধমান মডিউল চালাত, জেরায় জানিয়েছে সাজিদ!
কে এই সাজিদ?
শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ মোস্ট ওয়ান্ডেট সাজিদকে গ্রেফতার করে খাস কলকাতা থেকে। এরপর তাকে এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেরার মুখে পড়ে সাজিদ স্বীকার করে নেয় যে সেই বর্ধমান মডিউলের প্রধান ছিল। বাংলাদেশের নাগরিক এবং একইসঙ্গে জেএমবি-র কমান্ডারও বটে। সাজিদের গ্রেফতারি বর্ধমান মডিউলের অনেক অজানা তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে।
সাজিদের গ্রেফতার হওয়ার একদিন আগেই এই ইউনিটের আর এক মুখ্য সদস্য জিয়া উল হককে গ্রেফতার করা হয়। জিয়া উল হক ইউনিটের মতাদর্শগত প্রধান ছিলেন। মাদ্রাসায় জিহাদি সাহিত্য পড়িয়ে ক্যাডারদের উদ্বুদ্ধ করত জিয়া উল হক।
স্থানীয় মহিলাদের বিয়ে করার জন্য ক্যাডারদের উপদেশ দিত সাজিদ
সাজিদ নিজের স্ত্রী ফাতিমাকেও এই 'অপারেশন'-এ ব্যবহার করেছিল। গ্রেফতার হওয়ার পর জেরায় সাজিদ স্বীকার করে যে বর্ধমান মডিউলের প্রধান ছিল সে। একসঙ্গে এও জানায়, সে ও তার স্ত্রী ফতিমা ছাড়াও আরও ১২টি দম্পতি এই বর্ধমান মডিউলটি চালাত। সাজিদ বাংলাদেশী ছিল। নিজের সন্ত্রাস সঙ্গীদের স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে বিয়ে করার পরামর্শ দিত। কারণ ভারতীয় মহিলাদের বিয়ে করলে সহজেই নথিপত্র পাওয়া যাবে। কিছু সময়ের মধ্যে ভারতীয় নাগরিক পদের জন্যও আবেদন করা যাবে।
সাজিদের দায়িত্ব ছিল এই বর্ধমান মডিউলটি গড়ে তোলা। সাজিদ এই বিষয়টি নিশ্চিত করে যাতে এই মডিউলের একটা বড় অংশই শুধুমাত্র দম্পতিদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। আর সেই জন্যই ফতিমাকেও এই 'অপারেশন'-এ যুক্ত করেছিল সাজিদ।
বর্ধমান মডিউলে সাজিদের স্ত্রী ফতিমার ভূমিকা
বর্ধমান মডিউল স্থাপনের পাশাপাশি জেএমবি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সমানে যোগাযোগ রেখে চলত সাজিদ। মডিউল গঠনের গোড়ার দিক থেকেই গত ৪ বছরে বাংলাদেশে বহুবার যাতায়াত করেছে সাজিদ। এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে যে, সাজিদ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তদন্তের কাজে সাহায্য করবে বলে জানিযেতে। বর্ধমান মডিউলে সাজিদের স্ত্রী ফতিমার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে ফতিমা কাজ করতে, কী ছিল তাঁর দায়িত্ব, সে বিষয়েও সাজিদের থেকে জানার চেষ্টা করবে এনআইএ-র তদন্তকারী অফিসাররা।