খারাপ সময়েও কী ভাবে ধোনি পাশে থাকতেন ক্রিকেটারদের জানালেন জাতীয় দলের এই তারকা স্পিনার
খারাপ সময়েও কী ভাবে ধোনি পাশে থাকতেন ক্রিকেটারদের জানালেন জাতীয় দলের এই তারকা স্পিনার
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর ভারতীয় ক্রিকেটকে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম সফল মহেন্দ্র সিং ধোনি। অধিনায়ক হিসেবে যেমন মাথা ঠান্ডা রাখতে পারতেন তেমনই পূর্বসুরির দেখানো রাস্তায় হেঁটে তরুণ ক্রিকেটারদের প্রতিভার বিচ্ছুরণ যাতে সঠিকভাবে হয় সে দিকেও নজর রাখতেন মাহি। টি-২০ বিশ্বকাপ এবং একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ তাঁর দক্ষ অধিনায়কত্বের প্রমাণ বহন করে।
ধোনির অধিনায়কত্বে যুজবেন্দ্র চহাল এবং কুলদীপ যাদবের মধ্যে দিয়ে দুই তরুণ স্পিনারের উথ্থান ঘটেছিল ভারতীয় দলে। এই স্পিনিং ডুয়োর যত সাফল্য তার অধিকাংশটাই এসেছি মাহির অধিনায়কত্বে। উইকেটের পিছনে ধোনির উপস্থিত এই দুই স্পিনারের কাজটা অনেকটা সহজ করে দিয়েছিল। উইকেট পেলে যেমন চাহাল-কুলদীপদের সাবাসি দিতেন ধোনি, তেমনই প্রচুর রান খরচ করলেও পাশে থাকতেন দলের ক্রিকেটারদের।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় সেই রকম এক ঘটনার কথাই তুলে এনেছেন চহাল। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি টি-২০ ম্যাচে ৬৪ রান খরচ করেছিলেন চহাল। টি-২০'র মতো ম্যাচে দলের প্রিমিয়াম কোনও বোলার এত রান খরচ করলে স্বাভাবিক ভাবেই চাপে পড়ে যায় সেই দল। কিন্তু ধোনি বকাঝকা করার পরিবর্তে চহালের পাশে এসে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িছিলেন। চাহালের কথায়, "২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটা টি-২০ ম্যাচে আমি ৬৪ রান খরচ করেছিলাম। (হেনরিচ) ক্লাসেন মাঠের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছিল আমার বল। তখন মাহি (ধোনি) ভাই এসে আমায় বলে উইকেটের অন্য পাশ থেকে বোলিং করতে। সেই কাজটাই করেছিলাম আমি। কিন্তু তবুও ও আমার বলে মাঠের সব থেকে বড় বাউন্ডারির উপর দিকে ছক্কা মারে। তখন মাহি ভাই আমার কাছে আসে। আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করি, 'হ্যাঁ মাহি ভাই, এখন আমি কী করব?' উনি তখন বলেন কিছুই না, আমি এমনি তোমার কাছে এসেছিলাম। তিনি বলেন, 'আমি জানি আজকে তোমার দিন নয়, তুমি চেষ্টা করছো কিন্তু (যেটা চাইছো) হচ্ছে না। বেশি ভাবার দরকার নেই, নিজের চার ওভার শেষ করো এবং মজায় থাকো।'"
৩১ বছর বয়সী স্পিনার আরও জানান যে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এর থেকে ভাল পারফর্ম করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, এই অবস্থায় ধোনির পাশে থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁর কথায়, "কেউ যদি ওই সময়ে তোমায় বকাঝকা করতো তা হলে আত্মবিশ্বাস আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকত। কিন্তু তিনি (ধোনি) আমায় বলে ছিলেন এটা শুধু একটা ম্যাচের ব্যপার, তুমি ওডিআইতেও ভাল পারফর্ম করেছ। আমিও বুঝতে পেরেছিলাম ক্রিকেটে তুমি কিছু সময় খুব ভাল পারফর্ম করবে, কিছু সময়ে সেটা হবে না।"