যশ দলীপ অভিষেকে শতরানে ছুঁলেন সচিন-পৃথ্বীকে, নিশ্চিত করলেন পূর্বাঞ্চলের বিদায়
দলীপ ট্রফি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে পূর্বাঞ্চলকে। পুদুচেরীতে মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বাধীন দলকে প্রথম ইনিংসে পিছনে ফেলে দিল উত্তরাঞ্চল। কাল খেলার শেষ দিন। পূর্বাঞ্চলের ৩৯৭ রানের জবাবে তৃতীয় দিনের খেলার শেষে উত্তরাঞ্চলের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৪৩৩। অপর কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম ইনিংসে লিড আদায় করে নিয়েছে অজিঙ্ক রাহানের পশ্চিমাঞ্চল।
দ্বিতীয় দিনের শেষে উত্তরাঞ্চলের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৬৫। ১৩৮ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ৩২০ রানে এবং ৩৪৮ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। যশ ঢুল মাত্র সাত রানের জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া করেন। ২৪৩ বলে তিনি ১৯৩ রান করেছেন। মেরেছেন ২৮টি চার ও ২টি ছয়। ভারতকে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জেতানো দিল্লির এই ব্যাটার রঞ্জি ট্রফি অভিষেকে শতরান করেছিলেন, দলীপ অভিষেকেও শতরান করলেন। এই নজির রয়েছে শুধু সচিন তেন্ডুলকর ও পৃথ্বী শ-র।
রঞ্জির অভিষেক ম্যাচে দুটি ইনিংসেই শতরান করেছিলেন যশ। তৃতীয় ম্যাচে হাঁকান দ্বিশতরান। ৩ ম্যাচে ৪৭৯ রান করেন, যা তাঁকে দলীপ ট্রফির দলেও জায়গা করে দেয়। সচিন ১৯৮৮ সালে রঞ্জি অভিষেকে শতরান করেছিলেন। এরপর তাঁর দলীপ ট্রফি ও ইরানি ট্রফি (এখন যা ইরানি কাপ) অভিষেকেও শতরান রয়েছে। সচিনের পর রঞ্জি ও দলীপ অভিষেকে শতরান রয়েছে পৃথ্বী শ-র। তবে ইরানি অভিষেকে তাঁর সেঞ্চুরি নেই। আজ দুরন্ত শতরান করে সচিন-পৃথ্বীর কীর্তি স্পর্শ করলেন যশ। মনন ভোরা ৪৪, ধ্রুব শোরে ৮১ রান করে আউট হন। অধিনায়ক মনদীপ সিং ৩৪ ও হিমাংশু রানা ৬২ রানে অপরাজিত আছেন। মণিশঙ্কর মুরাসিং, আকাশ দীপ ও শাহবাজ নাদিম একটি করে উইকেট পেয়েছেন। ঈশান পোড়েল ১টি মেডেন-সহ ১৬ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। শাহবাজ আহমেদ ৯.৪ ওভারে ৪৬ রান এবং অনুষ্টুপ মজুমদার ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি।
অপর কোয়ার্টার ফাইনালে চেন্নাইয়ের চিপকে পশ্চিমাঞ্চল ২ উইকেটে ৫৯০ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিল। আজ তৃতীয় দিনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৩৫ রানে। অঙ্কুর মালিক সর্বাধিক ৮১ রান করেছেন। ২০ রানের মধ্যে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল হোকাইতো ঝিমোমির দলের। চিন্তন গজা চারটি এবং জয়দেব উনাদকাট তিনটি উইকেট দখল করেন। অতীত শেঠ নেন ২ উইকেট। জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে পশ্চিমাঞ্চল ১ উইকেটে ১২ রান তুলেছে।