ওপেনিং সমস্যা থেকে নির্বিষ বোলিংয়ে ত্রাতা হতে পারতেন ঋদ্ধি-শামি,তারকার ভিড়ে কেকেআরে তবু উপেক্ষা
এ যেন উপেক্ষার বড় জবাব! প্রতি বছর আইপিএল নিলামে দেশী-বেদেশী ক্রিকেটার নিলেও দিন পর দিন ব্যর্থ কলকাতা নাইট রাইডার্স। চলতি বছরেও কেকেআরে ছবিটা পাল্টায়নি। ওপেনিংয়ে ব্যর্থতা থেকে নির্বিষ বোলিংয়ের কারণে আইপিএল ২০২০তে একের পর এক ম্যাচ হারছে কলকাতা। যারপর নাইটদের ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। সেখানেই কলকাতায় উপেক্ষিত হয়ে অন্য দলে খেলে ব্যাটে-বলে মারকাটারি পারফর্ম্যান্স ঋদ্ধিমান-শামির।

মরণ বাঁচন ম্যাচে সানরাইজার্সকে বাঁচালেন বাংলায় ঋদ্ধিমান
মঙ্গলবার মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে সানরাইজার্সকে একা হাতে ম্যাচ জেতালেন বাংলার ছেলে ঋদ্ধিমান। দিল্লির বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে ৪৫ বলে ৮৭ রানের ( ২টি ছক্কা ও ১২টি চার) বিধ্বংসী খেলে দলকে ২১৯ রানে স্কোরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেন। যার সুবাদে ৮৮ রানে ম্যাচ জিতে আইপিএল ২০২০ অভিযানে প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখল নিজামের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। ঝোড়ো ইনিংস খেলে সানরাইজার্সের জয়ের কারিগর হওয়ার ম্যাচের সেরা বাংলায় পাপালি।

আইপিএল ২০২০তে আগুনে বোলিং শামির
শুধু ঋদ্ধি নয় বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলা শামিও আইপিএল ১৩তে ধারাবাহিকভাবে উইকেটের ছন্দে রয়েছেন। পাঞ্জাবের হয়ে থ্রিলার সুপার ওভারে মুম্বইকে পাঁচ রানে বেঁধে রাখার হোক বা ১২ ম্যাচ শেষে ২০ উইকেট তুলে নেওয়া। আইপিএলে বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন শামি।

তবুও কেকেআরের ব্রাত্য শামি-ঋদ্ধিমান
বাংলায় ক্রিকেটাররা ভিন্ন রাজ্যের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দারুণ সাফল্য পেলেও দিনে পর দিন কলকাতা নাইট রাইডার্সে যদিও বাত্য থেকেছেন। মঙ্গলবার শতরান থেকে ১৩ রান দূরে ইনিংস শেষে করে ঋদ্ধিমান সেই উপেক্ষারই যেন আরও একবার যোগ্য জবাব দিলেন। যারপর অন্য দলে ব্যাটে-বলে ঋদ্ধি-শামিরা সফল হলেও শাহরুখের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তাঁদের নিয়ে কেন দিনের পর দিন উপেক্ষা আরও একবার এই প্রশ্ন উঠে গেল।

কেকেআরের ওপেনিং সংকটে ত্রাতা হতে পারতেন ঋদ্ধিমান
চলতি বছরে ওপেনিং নিয়ে প্রতি ম্যাচে সমস্যায় কেকেআর। কখনও নারিন না পারার কারণে তাঁকে ওপেনিং থেকে সরাতে হয়েছে। কখনও আবার ওপেনিংয়ে শুভমান গিলের স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা চলছে। ত্রিপাঠী ও রানা ওপেনে নেমে এক ম্যাচ সফল হয়ে ফরে ব্যর্থতার খাতায় নাম লিখিয়েছেন। বুধবার ওপেন করতে নেমে ৪৫ বলে ৮৭ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে ওপেনিং নিয়ে নাইটদের এই সমস্যারই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারতেন, তা ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বুঝিয়ে দিলেন ঋদ্ধিমান।

কামিন্সে খরচ ১৫.৫ কোটি, তবু শামিতে উপেক্ষা কেকেআরের
মহাতারকা খুঁজতে গিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটারে উপেক্ষা কলকাতার। দিনের পর দিন ভিন রাজ্যের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলে শামির মতো দেশের অন্যতম সেরা পেসার ২২ গজে ধারাবাহিকতা দেখালেও নামের পিছনে ঝুঁকে কেকেআর। পরিসংখ্যান বলছে ১৫.৫ কোটিতে কেনা প্যাট কামিন্স চলতি বছরে ১২ ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট পেয়েছেন। সেখানেই ১২ ম্যাচ খেলে শামি নামের পাশে ২০ উইকেট। বেগুনি টুপির লড়াইয়ে ২৩ উইকেট পাওয়া কাগিসো রাবাদার পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শামি।

আইপিএল ২০২০ : সিএসকে-র বিরুদ্ধে কেকেআরের আদর্শ একাদশ কেমন হওয়া উচিত?