সাংবাদিকের কথায় অপমানিত ঋদ্ধিমান, ইন্টারভিউ না নেওয়ার হুমকি
সাংবাদিকের কথায় অপমানিত ঋদ্ধিমান, ইন্টারভিউ না নেওয়ার হুমকি
ঋদ্ধি বিতর্ক চলছেই। একে তো প্রথমে তাকে দল থেকে বাদ যাবার ইঙ্গিত দেওয়া হতেই তিনি রঞ্জি না খেলার কথা বলে দেন। তারপরে দল ঘোষণা হওয়ার পরে ঋদ্ধি তো বোমা ফাটিয়েছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, চেতনা শর্মা সবার দিকেই আঙুল তুলে দিয়েছে ঋদ্ধির বক্তব্য। এবার তিনি এক সাংবাদিকের ব্যাবহারে অত্যন্ত অবাক ও ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সঙ্গে সেই সাংবাদিকের কথাবার্তার স্ক্রিনশট টুইটারে শেয়ার করেছেন। ঋদ্ধি বলতে চেয়েছেন এখন সবাই তাঁকে অসম্মান করছে।
শনিবার ঋদ্ধিমান সাহাকে ৪ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই টেস্টের হোম সিরিজের জন্য ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। টেস্ট দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সাহা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে, টিম ম্যানেজমেন্ট প্রধানের নেতৃত্বে কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে "অবসর" নিয়ে ভাবতে বলেছিলেন কারণ তাকে সামনের শ্রীলঙ্কা সিরিজে নির্বাচনের জন্য বিবেচনা করা হবে না। তিনি আরও বলেন যে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে কানপুর টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার দুর্দান্ত কিপিং এবং ব্যাটিংয়ের পরে দলে তার জায়গা নিয়ে তার চিন্তা করা উচিত নয়।
এরপরে শনিবার রাতে ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার এক সাংবাদিকের কাছ থেকে প্রাপ্ত মেসেজের একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন। যা বেশ বিতর্কিত এবং সাহা মনে করছেন দল নির্বাচকরা তো বটেই এবার সাংবাদিকরাও তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে যেটা তিনি আশা করেননি। দেখা গিয়েছে সাংবাদিক ঋদ্ধিমানকে বলেছেন 'ওরা একজনকে কিপার হিসাবে ভাবছে। সেটা যাকে মনে করেছে তাকে বেছে নিয়েছে। তুমি ১১ জন সাংবাদিককে ডেকে ডেকে নানারকম কথা বলছ যেটা ঠিক নয়।
দেখ তোমায় কে সাহায্য করে এবার'। ওই সাংবাদিক তারপর ফোন করেছিলেন সাহাকে। তিনি স্বাভাবিকভাবেই ফোন ধরেননি। এরপর ওই সাংবাদিক বলেছেন , 'তুমি আমার ফোন ধরলে না। এরপর তোমার একটাও ইন্টারভিউ আমি করবো না। মনে রাখবে , আমি এমন অপমান সহ্য করব না। তুমি এটা ঠিক করলে না'। প্রথমে অপমানজনক কথা, পরে প্রায় হুমকি। এসব নিয়েই বেশ অবাক ঋদ্ধিমান সাহা।
সাংবাদিকের নিন্দা করে, সাহা টুইটারে লিখেছেন: "ভারতীয় ক্রিকেটে আমার সমস্ত অবদানের পরে.. আমি একজন তথাকথিত "সম্মানিত" সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছি! এটাকেই এখন নাকি সাংবাদিকতা বলে।"
সাহার টুইটার পোস্টে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। তিনি লিখেছেন: "অত্যন্ত দুঃখজনক। এনাকে সম্মান করা যায় না, ইনি সাংবাদিকও নয়, শুধু চমচাগিরি করেন। তোমার সাথে আছি ঋদ্ধি।"
প্রসঙ্গত, শনিবার সর্বভারতীয় সিনিয়র সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান চেতন শর্মা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা করেছেন। চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে, ইশান্ত শর্মা এবং সাহার মতো সিনিয়রদের সবাইকেইটেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এরা কেউই ফর্মে ছিলেন না। দীর্ঘদিন ধরে তাদেরকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তারপর দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের।
এঁদের বাদ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে চেতন শর্মা বলেছেন, "আমরা তাদের বলেছি যে আমরা তাদের দুটি টেস্ট ম্যাচের জন্য দলে রাখছি না (বনাম শ্রীলঙ্কা)। আমরা কারও জন্য দলে দরজা বন্ধ করে দেওয়ার কেউ নই। আপনি রান করুন, উইকেট নিন এবং খেলুন দেশের হয়ে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমি তাদের চারজনকেই রঞ্জি ট্রফিতে খেলার জন্য অনুরোধ করেছি।"
ভারত দুই টেস্টের সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলবে। ৪ মার্চ থেকে মোহালিতে প্রথম ম্যাচটি খেলা হবে। দ্বিতীয় টেস্টটি ১২ মার্চ থেকে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।