'বড়' ক্রিকেটার ঋদ্ধির সাফল্যের সিক্রেট ,বললেন তাঁর কলকাতার ক্লাবের কোচ
বাংলার ক্রিকেট মহলের কাছে তাঁর ট্যালেন্ট নতুন কিছু নয়, এখন উইকেটের পিছনে বিশ্ব দেখছে তাঁর ট্যালেন্ট।
কখনও সুনীল গাভাসকর, কখনও অধিনায়ক বিরাট কোহলি, কখনও কোচ রবি শাস্ত্রী যাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন না কেন। একটা বিষয়ে এখন সকলেই একমত। তা হল ভারতের টেস্ট জার্সি গায়ে ঋদ্ধিমান সাহার পারফরমেন্স। সকলেই মেনে নিয়েছে যেভাবে গ্লাভস হাতে টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্ব তিনি সামলাচ্ছেন তাতে কার্যত তাঁকে গোল্ডেন গ্লাভসই দেওয়া উচিত। ফুটবলে সেরা গোলরক্ষক এই গ্লাভস পান। ক্রিকেটে এই মুহূর্তে এই গ্লাভসের আর কোনও দাবিদার নেই।
যে জায়গায় মহেন্দ্র সিং ধোনি এত বছর সগর্বে দায়িত্ব পালন করেছেন, ঠিক সেই জুতোতেই এখন পা গলিয়েছেন ঋদ্ধি। ঋদ্ধি জানিয়েছেন তাঁর আইডল মাহিই। কিন্তু ঋদ্ধির এই সাফল্যের রেসিপি কী। কী বলেন তাঁর সঙ্গে যাঁর আজও নিয়মিত খেলেন।
জাতীয় দল ,আইপিএল, বাংলা দলের শত ব্যস্ততার মধ্যেও এখনও চুটিয়ে ক্লাব ক্রিকেট খেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। কলকাতা ময়দানে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে খেলা ঋদ্ধিমানের সঙ্গে বহু বছর কাজ করছেন ক্লাবের কোচ পলাশ নন্দী। তাঁর মতে,'উইকেটের পিছনে ঋদ্ধির ক্ষমতা ঈশ্বরপ্রদত্ত। যেভাবে ও বল একদম শেষ অবধি ফলো করে তারপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তা উইকেটরক্ষকদের মধ্যে বড় একটা চোখে পড়ে না।'
শুধু এটুকুই নয় ঋদ্ধিমান সাহার সাফল্যের পিছনের আরও গোপন কারণও জানিয়েছেন ময়দানের অভিজ্ঞ কোচ পলাশ নন্দী। তাঁর মতে, 'ঋদ্ধি সবসময় ফোকাসড ক্রিকেট ও পরিবার ছাড়া তাঁর জীবনে আর বেশি গুরুত্ব কাউকে দেননা। আড্ডা মারেন হয় মোহনবাগানে নয় ইডেনে। এখনকার তরুণ প্রজন্ম যেভাবে জীবনটা 'এনজয়' করে ঋদ্ধি সেই পথ ভুলেও মারান না।'
শিলিগুড়ি থেকে উঠে আসা ঋদ্ধিকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দারুণ আবেগপ্রবণ পলাশ নন্দী। তিনি নিজের হাতে তৈর করেননি এই ক্রিকেটারকে। বাংলার জার্সি গায়ে খেলার পর মোহনবাগানে তিনি পেয়েছেন ঋদ্ধিকে , কিন্তু তাঁর মধ্যে শেখার খিদেটা একইরকম চনমনে। জাতীয় দলের খেলার পর ক্রিকেটারদের মধ্যে যে স্বাভাবিক ঔদ্ধত্য আসে ঋদ্ধির মধ্যে আজও তার লেশমাত্র নেই। ২৭ টি টেস্ট খেলা ঋদ্ধির ক্যাচের সংখ্যা ৫২, স্টাম্পিং ৯টি। ঝোলায় রান ১০৯৬, শতরান রয়েছে ৩টি , অর্ধশতরান ৫টি। তারপরেও মাটিতেই পা শিলিগুড়ির ছেলে পাপালির।
কোচ পলাশ নন্দীর মতে বড় ক্রিকেটার তো অনেকেই হয় ঋদ্ধির মত এতবড় মনের মানুষ খুব কম হয়। যেভাবে পাপালি সবাইকে বিনা দ্বিধায় নিজের ক্রিকেটিং অ্যাক্সেসারি দিয়ে দেয় তা নিঃসন্দেহে নজির। এত বড় মনের মানুষ হওয়ার জন্যই খেলাতেও এতটা উন্নতি করছে ঋদ্ধি মত ময়দানের অভিজ্ঞ এই হেডস্যারের।