ঋদ্ধিমান ফিট, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বাতিল ভারত-নিউজিল্যান্ডের অনুশীলন! বিরাট ইঙ্গিত কোহলিদের প্রথম ১১ নিয়ে
কাল থেকে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে শুরু ভারত-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট। তবে দিন তিনেক ধরে মুম্বইয়ে অকালবর্ষণ চলায় আজও ভারত ও নিউজিল্যান্ড অনুশীলন করতে পারেনি। বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সের ইনডোরেই গা ঘামিয়েছে ভারতীয় দল। নিউজিল্যান্ড অনুশীলন বাতিল করে। বৃষ্টি আজ থামার পর কিউরেটররা পিচের কভার সেরে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করলেও টানা বৃষ্টির ফলে পিচ কেমন আচরণ করে তা নিয়ে যেমন কৌতূহল রয়েছে, তেমনই রয়েছে ভারতের প্রথম একাদশ নিয়েও।
— BCCI (@BCCI) December 2, 2021
|
ঋদ্ধিমান নিয়ে বিরাট
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি আজ জানিয়েছেন, ঋদ্ধিমান সাহার যে ঘাড়ের চোট বা নেক স্প্যাজম ছিল তা সেরে গিয়েছে। সাহা খেলার জন্য ফিট। তবে মাঠের পিচ ও পরিস্থিতি দেখেই প্রথম একাদশ চূড়ান্ত করতে হবে। পাঁচ দিনের আবহাওয়ার কথা ভেবে সেইমতো যাঁরা কার্যকরী বোলিং করতে পারবেন তাঁদের রেখেই বোলিং কম্বিনেশন চূড়ান্ত করতে হবে। উল্লেখ্য, ওয়াংখেড়ের লাল পিচ থেকে বাউন্স আদায় করতে ইশান্ত শর্মার জায়গায় দলে নেওয়া হতে পারে মহম্মদ সিরাজকে। তাছাড়া মুম্বই টেস্টের বেশিরভাগটাই মেঘাচ্ছন্ন আকাশের পূর্বাভাস রয়েছে।
পিচ নিয়ে
বৃষ্টির কারণে পিচ কভার দিয়ে ঢাকা ছিল। ফলে প্রথম দিনে আর্দ্রতা থাকবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। বিরাটের কথায়, ওয়াংখেড়েতে যেমন পিচ বরাবর হয় এটি তেমনই। সব ধরেনর বোলারই সুবিধা আদায় করে নিতে পারবেন। এখানে কখনও ঘূর্ণি বা সিম সহায়ক উইকেট না হলেও বোলিংয়ে শৃঙ্খলা দেখাতে পারলে সকলেই পিচের সহায়তা আদায় করে নিতে পারবেন।
বাদ পড়বেন কে?
ঋদ্ধির ব্যাট যেভাবে কানপুরে দলকে বাঁচিয়েছে তাতে তাঁকে বাদ দেওয়ার অবকাশ নেই। তবে চোটের কারণে তিনি যদি মুম্বই টেস্টে নামতে না পারতেন সেক্ষেত্রে ভারতের প্রথম একাদশ নিয়ে খুব একটা বদল করতে হতো না। কেন না কেএস ভরত ওপেন করেন। আবার ঋদ্ধি ফিট হলেও কম্বিনেশন ঠিক রাখতে ভরতেও খেলানো হতে পারে। ফলে শুভমান গিলের সঙ্গে তিনিই ওপেন করবেন। আজ ইন্ডোরে ভরতকেও ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে। বিরাট কোহলি দলে আসায় ময়াঙ্ক আগরওয়ালের বসা নিশ্চিত। অজিঙ্ক রাহানে ও চেতেশ্বর পূজারা ফর্মে ফেরার আরও একটি সুযোগ পেতে পারেন। তবে ঋদ্ধি খেললে শ্রেয়স আইয়ার, চেতেশ্বর পূজারা বা অজিঙ্ক রাহানের মধ্যে কোনও একজন বসবেনই। সবমিলিয়ে কাকে বাদ দেওয়া যায় সেটাই মাথাব্যথার বড় কারণ। বিশেষ করে শ্রেয়স অভিষেক টেস্টে শতরান ও অর্ধশতরান করে ম্যাচের সেরা হওয়ায়। বিরাট কোহলি বলেন, যিনিই বাদ পড়বেন তাঁকে বিষয়টি ভালোভাবে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হবে। ম্যাচের প্রেক্ষিতেই সেরা কম্বিনেশন চূড়ান্ত করা হয়ে থাকে। উত্থান-পতন কেরিয়ারে থাকবেই। তবে দলের স্বার্থ সবার আগে। সম্মিলিতভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, আমাদের দলে এ বিষয়ে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে।
ছন্দে ফিরতে
বিরাট কোহলি বিশ্রামে থাকাকালীনও ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের তত্ত্বাবধানে। বিরাট জানিয়েছেন, এক ফরম্যাট থেকে আরেক ফরম্যাটে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া জরুরি। লাল বলের ক্রিকেটে ছন্দে থাকার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এটা আমি আগেও করে এসেছি টেকনিকের চেয়েও মানসিক বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে। বেশি খেলার কোনও বিকল্প নেই। কোন ফরম্যাটে কী ধরনের মানসিক শক্তির প্রয়োজন সে সবটা ভেবেই অনুশীলন করেছি। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে দ্বিশতরান করেছিলেন। ২০১৯ সালে ইডেন টেস্টের পর থেকে শতরান নেই বিরাটের ব্য়াটে। তিনি বলেন, ওয়াংখেড়েতে আমার বেশ কিছু ভালো স্মৃতি জড়িয়ে। দলের প্রয়োজন মতোই খেলা আমার লক্ষ্য। যদি মনে হয় দলের প্রয়োজনে আমার লম্বা ইনিংস খেলা দরকার, সেটাই করব।