ফের কেন আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের আসনে আসীন ভিভো, পিছনে কোন কারণ
ফের কেন আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের আসনে আসীন ভিভো, পিছনে কোন কারণ
এক বছরের ব্যবধানে ফের আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের আসনে আসীন হল ভিভো। কূটনৈতিক বিতর্ক ভুলে আর্থিক চাহিদা মেটাতেই বিসিসিআই চিনা মোবাইল সংস্থাকে ফিরিয়ে এনেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যেই কথা উঠতে শুরু করেছে। সীমান্ত অস্থিরতার মধ্যে ভারতীয় বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আইপিএলে মিশল ভিভো
এক বছরের অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে ভিভোর উদয় হয়েছে। টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল নিজে মিনি নিলামের মঞ্চে এ ব্যাপারে ঘোষণা দেন। চিনা মোবাইল সংস্থার সঙ্গে বিসিসিআই-এর ফের সংযুক্তিকরণের বিষয়টি জানান ব্রিজেশ।
কেন সরে গিয়েছিল ভিভো
সীমন্ত বিতর্ক নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। গত বছর লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে বিতর্ক নিষ্পত্তির হেতু আলোচনায় বসা চিনা সেনা ২০ জন নিরস্ত্র ভারতীয় জওয়ানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিশ্ব। ভারতে চিনা প্রোডক্ট ব্যবহারে বন্ধের দাবি উঠেছিল। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ভিভোর অপসারণের দাবিও তোলা হয়েছিল। ঘরে-বাইরে চাপ সামাল দিতে না পেরে কেবল ২০২০ সালের আইপিএলের জন্য চিনা মোবাইল সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছিল বিসিসিআই।
ভিভোর সঙ্গে চুক্তি
২০১৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় ভিভো। এর জন্য প্রতি মরসুমে বিসিসিআই-কে ৪৪০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা চিনা মোবাইল সংস্থার। পাঁচ বছরের হিসেবে মোট অর্থের পরিমাণ প্রায় ২২০০ কোটিতে গিয়ে পৌঁছনোর কথা।
কেন ভিভোকে ফিরিয়ে না হল
ভিভো সরে গেলে তার পরিবর্তে ড্রিম ইলেভেন-কে ২০২০ সালের আইপিএলের টাইটেল স্পনসর করা হয়েছিল। এর জন্য ভারতীয় বোর্ডকে মাত্র ২২২ কোটি টাকা দিয়েছিল এই ভারতীয় সংস্থা। ভিভোর নিরিখে যা অনেকটাই কম। এমনকী আগামী মরসুমের জন্য ড্রিম ইলেভেন দর বাড়াতে রাজি হয়নি বলেও খবর। ফলে আর্থিক লাভের কথা ভেবেই ভিভো-র হাতে ফের আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিসিসিআই সূত্রে খবর।