করোনা আতঙ্কে আইপিএল আয়োজনের জন্য কোন কোন পথে হাঁটতে পারে বিসিসিআই, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক
আইপিএল আয়োজন করতে কোন কোন পথে হাঁটতে পারে বিসিসিআই, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ প্রভাবে দেশের অন্যান্য ক্রীড়া ইভেন্টের মতো আইপিএল-ও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। ২৯ মার্চের পরিবর্তে ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হতে পারে টুর্নামেন্ট। তা করতে বিসিসিআই কোন কোন পদক্ষেপ নিতে পারে, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ
এপ্রিলেও করোনা ভাইরাসের প্রভাব না কমলে ফাঁকা স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচগুলি আয়োজন করা হতে পারে। মারণ ভাইরাসের জেরে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কড়া ভিসা নীতি আরোপ করে রেখেছে ভারত সরকার। পরিস্থিতি এর পরেও স্বাভাবিক না হলে কিংবা ভিসা নীতি শিথিল না হলে বিদেশি ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলতে ভারতে আসতে পারবেন না। তাতে সমস্যায় পড়তে পারে ফ্রাঞ্চাইজিগুলি।
১) আইপিএলে অংশ নেওয়া ক্রিকেটার সাপোর্ট স্টাফ ও গ্রাউন্ডসম্যানদের জীবন নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিসিআই। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বোর্ড।
২) করোনা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না ফ্রাঞ্চাইজিগুলিও। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেখে তারা আইপিএল নিয়ে নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিসিসিআই-কে জানাবে বলে খবর।
৩) সমস্যার বিষয় একটাই যে আগামী জুন থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডার। তার আগে যেনতেন-প্রকারেণ আইপিএল শেষ করতেই হবে। তা না হলে বা কোনওভাবে টুর্নামেন্ট বাতিল হয়ে গেলে ফ্রাঞ্চাইজি ও স্টেক হোল্ডারদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে বিসিসিআই।
ম্যাচের সংখ্যা কম
১) রাউন্ড রবিন লিগ ফর্ম্যাটে আইপিএলে প্রতি দল একে অপরের সঙ্গে দুটি করে ম্যাচ (হোম ও অ্যাওয়ে) খেলে। টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় এবং হাতে সময় কম থাকায় দুই দলের মধ্যে একটি করে ম্যাচ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ৪টি প্লে-অফ সহ ৩২টি ম্যাচ হতে পারে।
২) আটটি দলকে দুটি ভাগে ভাগ করে, প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দলকে প্লে-অফে তুলে আনা হতে পারে বলেও আলোচনা চলছে বিসিসিআই-র অন্দরে।
উইন্ডোর পরিধি বৃদ্ধি
পুরনো সূচি অনুযায়ী ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল আইপিএল। ২৪ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। করোনা ভাইরাসের জন্য প্রতিযোগিতা পিছিয়ে যাওয়ায় টুর্নামেন্টের উইন্ডো ৩১ মে পর্যন্ত খোলা রাখতে পারে বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে বিদেশি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে সে সে দেশের ক্রিকেটারদের ৭ জুন পর্যন্ত ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হতে পারে।
ডবল হেডার
হাতে দিন কম এবং ম্যাচ বেশি থাকায় পরিস্থিতি সঙ্কুলানে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিসিসিআই-কে। সেক্ষেত্র একই দিনে দুটি করে ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলে বোর্ড সূত্রে খবর। করোনা ভাইরাসের জেরে ১৫ এপ্রিলেও খেলা শুরু করতে না পারলে একই দিনে তিনটি করে আইপিএল ম্যাচও রাখতে পারে বিসিসিআই।
মাঠের সংখ্যা কমানো
করোনার প্রভাব থেকে বাঁচতে এবং অর্থ বাঁচাতে আইপিএলে মাঠের সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে বিসিসিআই। আটের পরিবর্তে চার কিংবা পাঁচটি মাঠে হতে পারে টুর্নামেন্টের সবকটি ম্যাচ। সেক্ষেত্রে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতি তুলে দেওয়া হবে বলেও বিসিসিআই সূত্রে খবর।