বিশ্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ক্লাইভ লয়েডকে ছুঁলেন ড্যারেন স্যামি
১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সাল। এই দুটি বছরের বীরগাঁথাকে সম্বল করেই তার পরের প্রায় তিন দশক বেঁচে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট। এই দুটি বছরে খেলা একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে পরপর জয়ী হয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। তারপরের ইতিহাস বড়ই মলিন।
সেইসময়ের ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, জোয়েল গার্নার, ডেসমন্ড হেইনস, মাইকেল হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল অ্যান্ডি রবার্টসদের নিয়ে তৈরি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল প্রবল প্রতাপে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯-র বিশ্বকাপ জিতেছিল। ১৯৮৩ সালেও ফাইনাল খেলছিল ক্যারিবিয়ানরা। তবে প্রবল পরাক্রমী কপিল দেবের ভারতের কাছে হারতে হল ক্লাইভ লয়েডদের। তারপর থেকেই শুধুই নিম্নগমনের ইতিহাস।
এরপরের বিশ্বকাপগুলিতে আর ক্যারিবিয়ান দলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ফল বলতে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ রানে হেরে বিদায় নিতে হয়।
হোক না টি২০ ক্রিকেট, তাতেও দেশকে দুবার অধিনায়ক হিসাবে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন স্যামি
এমতাবস্থায় ক্রিকেট বিশ্বের একেবারে তলানিতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিন্তু টি২০ ক্রিকেটে প্রথম থেকেই ভালো ফল করতে শুরু করেছে। মোট ৬টি টি২০ বিশ্বকাপ এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে মোট চারবার সেমিফাইনাল খেলে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার মধ্যে দুবার চ্যাম্পিয়ন।
আর সেই সুবাদেই কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েডের সঙ্গে এক বন্ধনীর মধ্যে চলে এসেছে ড্যারেন স্যামির নাম। হোক না এটা টি২০ ক্রিকেট, তাতেও দেশকে দুবার অধিনায়ক হিসাবে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন তিনি। ২০১২ সালের পরে ২০১৬ সালেও টি২০ ক্রিকেটে সেরার সেরা হল ক্যারিবিয়ানরা। ঠিক যেমন করেছিলেন ক্লাইভ লয়েড ১৯৭৫-১৯৭৯ সালে একদিনের ক্রিকেটে।