ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে দাপট দেখাল টাইগার বাহিনী
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে জয়ের ধ্বজা ওড়াল বাংলাদেশ। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ১৮ রানে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে ওডিআই সিরিজ জিতে নিল মাশরাফি মোর্তাজার দল।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে জয়ের ধ্বজা ওড়াল বাংলাদেশ। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ১৮ রানে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে ওডিআই সিরিজ জিতে নিল মাশরাফি মোর্তাজার দল।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। মাশরাফির নেওয়া সিদ্ধান্তে যে কোনও ভুল ছিল না, তা নিজেদের ব্যাটিংয়ের প্রথম থেকেই বোঝাতে থাকে বাংলাদেশ। তবে, এদিন বাংলাদেশের জয়ের নেপথ্যে যিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, তিনি হলেন তামিম ইকবাল। একাই সব আশা শেষ করে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১২৪ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। সাতটি চার এবং দু'টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল তামিমের ইনিংস।
তামিম ছাড়াও রান পান সাকিব আল হাসান(৩৭), অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা(৩৬)। বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল্লাহ। ৪৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। পাঁচটি চার এবং তিনটি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দু'টি করে উইকেট নেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার এবং অ্যাশলে নার্স। একটি করে শিকার শেলডন কটরেল এবং দেবেন্দ্র বিশুর। নিজেদের ইনিংস শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০১ রান তোলে বাংলাদেশ।
মনে করা হয়েছিল ক্রিস গেইল, এভিন লুইসদের দাপটে খুব সমস্যা হবে না ম্যাচ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু ক্রিস গেইল একক দক্ষতায় লড়াই চালালেও,চড়ম ব্যর্থ এভিন লুইস। মাত্র ১৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
৬৬ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন ক্রিস গেইল। ছয়টি চার এবং পাঁচটি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। কিন্তু গেইল আউট হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। পরবর্তীতে সাই হোপ(৬৪) এবং রোভমান পাওয়েল(৭৪) বড় রান করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান তুলেই শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে দু'টি উইকেট নেন মাশরাফি মোর্তাজা। একটি করে উইকেট নেন মেহিদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান এবং রুবেল হোসেন।
ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তামিম ইকবাল। সিরিজের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন তামিম ইকবালই।