অস্ট্রেলিয়া একদিনের সিরিজ জিততেই পিচের প্রবল সমালোচনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক পোলার্ড
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে একদিনের সিরিজে পরাজয় অস্বস্তি বাড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ঘরের মাঠে সিরিজ হেরে বার্বাডোজের উইকেটকেই দুষছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছয় উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অ্যালেক্স ক্যারে-র নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া।
|
পিচের সমালোচনা
সিরিজ হারের পরই বার্বাডোজের পিচের সমালোচনায় মুখর হন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে ব্যাটিং যে ভালো হয়নি সে কথা উল্লেখ করেও তাঁর দাবি দুই দলই এখানকার পিচে ব্যাট করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ধরনের পিচ একেবারেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য পোলার্ডের। তিনি বলেন, কোনও অজুহাত দিতে চাই না। আমরা মেনে নিচ্ছি ব্যাটিং ভালো হয়নি। কিন্তু দুটি প্রথম সারির দল যেখানে খেলছে সেখানে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রতি ম্যাচে যে পরিমাণ রান উঠেছে তা যথেষ্ট অস্বস্তির। সেন্ট লুসিয়া থেকে বার্বাডোজে এসে যে পিচ পেলাম তা চূড়ান্ত হাস্যকর। আমি বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। নাহলে বলা হবে পোলার্ড এই বলছে, ওই বলছে! তবে খারাপ ফলের জন্য যখন ক্রিকেটারদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, তখন এটাও নিশ্চিত করা উচিত ক্রিকেটাররা যেন ভালো উইকেটে খেলার সুযোগ পান।
|
কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলে
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অজিরা ৪৫ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়েছিল। স্টার্ক বলেন, এই ধরনের পিচে ব্যাট করা সহজ ছিল না। আমরা ওই ম্যাচে স্পিনারদের বিরুদ্ধে ভালো খেলতে পারিনি। তবে আগের ম্যাচের থেকে শিক্ষা নিয়েই আমরা এদিন খেলতে নেমেছিলাম। উইকেটে বল ঘুরবে বুঝেই অ্যাগারকে প্রথম একাদশে রাখা হয়। অ্যালেক্স ক্যারে ও অ্যাগারকে নিয়ে যে পার্টনারশিপ ওয়েড গড়েছেন তা জয় নিশ্চিত করার পক্ষে সুবিধা করে দিয়েছে। অ্যাগার বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর কথায়, এমন উইকেটে বল সঠিক জায়গায় রাখার উপরই জোর দিয়ছিলাম।
|
লো স্কোরিং ম্যাচ
বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে সোমবার সিরিজ নির্ণায়ক তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.১ ওভারে মাত্র ১৫২ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনার এভিন লুউস ৫৫ বলে অপরাজিত থাকেন, বাকিরা কেউ ২০ পেরোতে পারেনিন। লুইস বাদে আর চারজন দুই অঙ্কের রান পান। মিচেল স্টার্ক ৪৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন। জোশ হ্যাজলউড, অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যাস্টন অ্যাগর দুটি করে উইকেট দখল করেন। জবাবে খেলতে নেমে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে অস্ট্রেলিয়া চার উইকেট হারিয়েই ৩০.৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে। অপরাজিত অর্ধশতরান করেন ম্যাথু ওয়েড। অ্যাগর হন ম্যাচের সেরা। তিন ম্যাচের সিরিজে ১১টি উইকেট নিয়ে সেরার পুরস্কার পান স্টার্ক। বোলারদেরই সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া শিবির। পোলার্ড পিচকে দুষলেও যে পিচে ২০০-র মতো রানই পর্যাপ্ত বলে মনে করা হচ্ছিল, সেখানে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের শট সিলেকশনও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।