তাঁর বিরুদ্ধে একটা সময়ে ওঠা ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন আক্রম
বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসারদের মধ্যে এক জন ওয়াসিম আক্রম। দীর্ঘ সময় ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরেও আজও তিনি শ্রদ্ধার প্রান্ত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেট অনুরাগীদের কাছে। আধুনিক সময়ের বহু উদীয়মান পেসার আক্রমণের ভিডিও দেখে পাকিস্তানের মহানক্ষত্রে কৌশল এবং দক্ষতা রপ্ত করার চেষ্টা করেন। যেই ক্রিকেটারকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণ উদীয়মান পেসাররা আদর্শ হিসেবে মানেন তাঁর কেরিয়ার যে খুবই সহজ সরল ছিল তা কিন্তু নয়, 'ম্যাচ গড়াপেটা'র অভিযোগ একটা সময়ে উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আক্রম নিজে মনে করে যে আজও কিছু সংখ্যক পাকিস্তানি তাঁকে 'ম্যাচ ফিক্সার' হিসেবে দেখে।
সদ্য প্রকাশিত হয়ে চলেছে ওয়াসিম আক্রমের আত্মজীবনী 'সুলতা: এ মেমরিয়র'। এই বইতে নিজের জীবনের বেশ কিছু অন্ধকার অধ্যায় তুলে ধরেছেন আক্রম, যার মধ্যে একটি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ, বল বিকৃতির অভিযোগ, কোকেন আসক্তির অভিযোগ।
দ্য গার্ডিয়নকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আক্রম বলেছেন, "আমি ভুলে যেতে চাই। ২৫ বছর ধরে আমি মধুমেহ রোগে আক্রন্ত এবং বাড়তি চাপ নিতে চাই না। কিন্তু আমি দুই ছেলের এক জনের বয়স ২৫ এবং এক জনের বয়স ২১। আমার মেয়ের বয়স ১৮ হতে চলল। এটা ওদের জন্য এবং আমার (দ্বিতীয়) স্ত্রী শানিয়েরার জন্য। ওরা সবাই জানতে চায় কী ঘটেছিল, ওই ঘটনার সম্পর্কে আমার কী মত কারণ ওরা আমার সম্পর্কে শুনেছে। ওয়াসিম আক্রমের সম্পর্কে মানুষ বলতে পারেন পাকিস্তান বা ল্যাঙ্কশায়ারের অন্যতম সেরা বাম হাতি পেসার ইত্যাদি এবং এই ভাবে আপনারা এই দেশে আমাকে দেখেন। কিন্তু পাকিস্তানে এখনও গুজব রয়ে গিয়েছে, বলা হয় 'ও একজন ম্যাচ ফিক্সার' আর এটা খুব কষ্ট দেয় আমায়।" গার্ডিয়ানের ওই রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যে ১৯৯৬ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ফিক্সিং করার অভিযোগ উঠেছিল আক্রমের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যেও সমর্থকদের সন্দেহের তালিকায় বরাবরের জন্য রয়ে গিয়েছেন আক্রম। ওই ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল পাকিস্তান।