ইংল্যান্ড সফরের আগে বাবার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ল ওয়াশিংটন সুন্দরের
অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট অভিষেক। বল হাতে তো বটেই, রবীন্দ্র জাদেজার অনুপস্থিতিতে ভারতীয় দলকে ব্য়াট হাতেও ভরসা দিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। যদিও ইংল্যান্ড সফরের আগেই বাবা এম সুন্দরের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ল।
কাছে থেকেও দূরে
এম সুন্দর। ওয়াশিংটন সুন্দরের বাবা, আবার বোলিং কোচও। যদিও ইংল্যান্ড সফরের আগে পুত্রের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এম সুন্দর। চেন্নাইয়ের আয়কর বিভাগে প্রশাসনিক আধিকারিক পদে তিনি কর্মরত। চেন্নাইয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। অথচ সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন দফতরে যেতে হচ্ছে এম সুন্দরকে। এতে ইংল্যান্ড সফরের দলে থাকা ওয়াশিংটন সুন্দর যাতে করোনা সংক্রমণজনিত কোনও সমস্যায় পড়েন, সে কারণেই দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত।
গর্বিত পিতা
অস্ট্রেলিয়ায় সফরে ব্রিসবেন টেস্টে অভিষেক। একমাত্র টেস্টে দলের প্রয়োজনের সময় দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৮৪ রান করেন। নেন চার উইকেট, সেরা বোলিং ৮৯ রানে ৩ উইকেট। ব্রিসবেনেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক সিরিজ জেতে ভারত। এরপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে তিনটি টেস্ট খেলেন। মোট ১৮১ রান করেন, সর্বাধিক অপরাজিত ৯৬। দুটি উইকেটও পান। অলরাউন্ডার হিসেবে এই দক্ষতার প্রমাণ তিনি রাখেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও। গর্বিত পিতা জানালেন তাঁর পুত্র ছোটোবেলার এক স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় রয়েছেন।
ইংল্যান্ডের মাটিতে
২০১৮ সালে ইংল্যান্ডে ভারতের হয়ে টি ২০ ও একদিনের সিরিজ খেলার ডাক পেয়েছিলেন ওয়াশিংটন। কিন্তু অনুশীলনে চোট পেয়ে একটিও ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরতে হয়েছিল। এম সুন্দর জানান, ছোটোবেলা থেকেই ওয়াশিংটনের স্বপ্ন লর্ডস বা ইংল্যান্ডের যে কোনও মাঠে খেলা। আগেরবার সুযোগ পেয়েও হয়নি। এবার তাই যে কোনও মূল্যে সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না। উল্লেখ্য, রবীন্দ্র জাদেজা দলে ফিরছেন। ফলে মূলত জাদেজার সঙ্গেই তাঁর লড়াই অলরাউন্ডার হিসেবে দলে থাকার। কারণ, ইংল্যান্ডে কোনও মূল্যেই ভারত তিন স্পিনার নিয়ে নামবে না। তবে সুযোগ পেলেই নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন।
বিশেষ ব্যবস্থা
১৯ মে থেকে মুম্বইয়ে টিম হোটেলে জড়ো হবেন ইংল্যান্ডগামী দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার। সেখানে নিভৃতবাস দুই সপ্তাহের। বাড়িতে কয়েকদিন নিভৃতবাসে থেকে মুম্বইয়ের ক্রিকেটাররা কয়েকদিন পর জৈব সুরক্ষা বলয়ে যোগ দেবেন। তার আগে বাড়িতেও খুব সাবধানেই রয়েছেন ওয়াশিংটন। বাবা পুত্রের কাছাকাছি আসছেন না একেবারেই। এম সুন্দর জানিয়েছেন, আইপিএল থেকে বাড়ি ফেরার পর আমি অন্য ঘরে থাকছি। ওয়াশিংটনের সঙ্গে থাকছেন মা ও বোন। তাঁরা কেউ বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না। আমি ওয়াশিংটনের সঙ্গে কথা বলছি ভিডিও কলে। আমাকে যেহেতু অফিসে যেতে চাই, তাই কোনওভাবে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সেটা নিশ্চিত করতেই এভাবে রয়েছি।