সাক্ষী মালিকের পদক জয় নিয়ে অভিনব উপায়ে শোভা দে-কে খোঁচা বীরেন্দ্র সহবাগের
রিও অলিম্পিকে ভারতের প্রথম পদক জয়ের পর আনন্দে মেতে উঠেছে আসমুদ্র হিমাচল। সারা দেশের সব প্রান্ত থেকে স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কুস্তি বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক পাওয়া দেশের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর সাক্ষী মালিককে অভিনন্দনের বন্যা বয়ে গিয়েছে। [রিও অলিম্পিকে ইতিহাস সৃষ্টি করা কে এই সাক্ষী মালিক?]
আর সেই স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটকেই অন্যভাবে হাতিয়ার করেছেন ভারতের অন্যতম সেরা প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র সহবাগ। খেলার মাঠে যেভাবে প্রতিপক্ষের বিষাক্ত ডেলিভারিগুলিকে হেলায় মাঠের বাইরে ফেলতেন। এখন টুইটারের মতো স্যোশাল সাইটকে সেভাবেই ব্যবহার করছেন বীরু। [অলিম্পিক্সে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সাক্ষীর আগে কারা ভারতের হয়ে পদক জিতেছেন?]
সাক্ষীকে তিনি যেমন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তেমনই এই টুইটারেই সহবাগ একহাত নিয়েছেন লেখিকা শোভে দে-কে। কারণ কিছুদিন আগেই টুইটারে রিও অলিম্পিকে অংশ নিতে যাওয়া ভারতীয় অ্যাথলিটদের কটাক্ষ করেন শোভা। তিনি লিখেছিলেন, "ভারতীয় অলিম্পিক দলের লক্ষ্যই হল, রিও যাও, সেলফি নাও, আর খালি হাতে বাড়ি চলে আসো। পুরোটাই টাকা ও সুযোগ নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।" [রিও অলিম্পিক নিয়ে কয়েকটি অজানা তথ্য জেনে নিন একনজরে]
এই নিয়ে তখন অনেকেই বিরোধিতা করেছিলেন। সেই দলে ছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগও। আর এদিন সাক্ষী ব্রোঞ্জ জিতে দেশকে গর্বিত করার মুহূর্তে শোভা দে-কে শিক্ষা দেওয়ার কথা ভোলেননি সহবাগ। তিনি টুইটারে তীব্র কটাক্ষে ভরিয়ে দেন এই লেখিকাকে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই মাইক্রো ব্লগিং স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। [অলিম্পিকে জিতে কেন অ্যাথলেটরা পদকে কামড় বসান জানেন?]
সহবাগ প্রথমে একটি টুইট করে লেখেন, "সাক্ষী মালিককে গলে মে মেডেল কিতনা 'শোভা দে' রাহা হ্যায়"। পরে নিজের এই টুইটটিকেই রিটুইট করে সহবাগ লেখেন, "বিলকুল, ইসলিয়ে শোভা না দে অ্যায়সে কাম নহি কারনে চাহিহে।" সহবাগের এই দুটি টুইটই যে ভাইরাল হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।