শুভ জন্মদিন বীরু : এই অবিস্মরণীয় রেকর্ডগুলি আপনার পক্ষ্যেই করা সম্ভব!
আসুন সহবাগের জন্মদিনে জেনে নিন তাঁরই করা এমনই কিছু অবিস্মরণীয় রেকর্ডের কথা।
বীরেন্দ্র সহবাগ মানে শুধু আগ্রাসী ক্রিকেট নয়, একটা চরিত্র। যিনি ভারতীয় তথা বিশ্ব ক্রিকেটে এক নতুন ট্রেন্ড তৈরি করেন ব্যাটসম্য়ান হিসাবে। টেস্ট ক্রিকেট এখনও যতজন মানুষ দেখতে পছন্দ করেন, তার একটা কারণ অবশ্যই সহবাগের ব্যাটিং। টি২০ হোক অথবা ওয়ান ডে ম্যাচ, অথবা টেস্ট ক্রিকেট, সহবাগের ব্য়াট একই গতিতে ছোটে, একেবারে চতুর্থ গিয়ারে।
প্রথম টেস্ট ভারত কবে জিতেছিল? সেই ইতিহাস জানেন কি?
১৯৮২ সালে ওয়ান ডে ক্রিকেটে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন কে? জানেন কি?
আর তাই সারা বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের ভিড়ে সবসময় জ্বলজ্বল করছেন তিনি। টেস্ট হোক অথবা ওয়ান ডে, এমন সব কীর্তি স্থাপন করে গিয়েছেন সহবাগ যা এককথায় অনন্য। দুটো ফর্ম্যাটেই ৮ হাজার রানের মাইলফলক টপকেছেন তিনি যা সারা দুনিয়ায় কতিপয় ক্রিকেটার করতে পেরেছেন।
দিন-রাতের টেস্টে প্রথম ত্রিশতরান পাকিস্তানের আজহার আলির, তবে আরও দুটি রেকর্ড
একদিনের ক্রিকেটে ধোনির রেকর্ডের লিস্ট
তিনি কখনও কোনও প্রথাগত পথে হাঁটেননি। সহবাগের দর্শন খুব পরিষ্কার ছিল। যা করতে ইচ্ছে হয়, তাই তিনি করবেন। আর এভাবেই ভারতের হয়ে ১০৪টি টেস্ট, ২৫১টি ওয়ান ডে খেলে নিজের ৩৭-তম জন্মদিনের দিন অবসর নেন বীরু। আসুন সহবাগের জন্মদিনে জেনে নিন তাঁরই করা এমনই কিছু অবিস্মরণীয় রেকর্ডের কথা।
অধিনায়ক হিসাবে ওয়ানডে ম্যাচে দ্বিশতরান
সহবাগই একমাত্র অধিনায়ক যিনি একদিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরান করেছেন। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২১৯ রানের ইনিংস খেলেন সহবাগ যা সেইসময়ের সর্বোচ্চ ছিল। সবমিলিয়ে ভারত তোলে ৪১৮ রান।
প্রথম শ্রেণি ও প্রথম টেস্টে শতরান
নিজের জীবনের প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ও টেস্ট ম্যাচের দুটোতেই শতরান করেছেন বীরু। ১৯৯৮ সালে দিল্লির হয়ে রহিয়ানার বিরুদ্ধে ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১১৮ রান করেন সহবাগ। এরপরে ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্লুম্ফন্টনে প্রথম ম্যাচে নেমেই শতরান হাঁকান বীরু। করেন ১০৫ রান।
টেস্টে একমাত্র ভারতীয় ত্রিশতরানকারী
এই রেকর্ডের কথা বোধহয় সকলেই জানেন। সহবাগ প্রথম ও একমাত্র ভারতীয় হিসাবে টেস্টে ত্রিশতরান করেছেন। ২০০৪ সালে পাকিস্তানের মূলতানে তিনি প্রথম তিনশো করেন। পরে আরও একবার ত্রিশতরান করেন তিনি।
ছক্কা হাঁকিয়ে ত্রিশতরান
টেস্টে সবার আগে ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান করেন বীরেন্দ্র সহবাগ। মূলতানে সাকলিন মুস্তাককে ছক্ক হাঁকান তিনি। ২০১৪ সালে কুমার সঙ্গকারাও একই রেকর্ডের অধিকারী হন।
পরপর ১১বার ১৫০ রানের ইনিংস
২০০৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০০৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত টেস্টে মোট ১১ বার শতরান হাঁকিয়েচেন সহবাগ যার সবকটিই ১৫০ রান বা তার বেশি রানের। সেদিক থেকে দেখতে গেলে সহবাগ পরপর ১৫টি শতরান করেছেন যাতে তিনি ১২৫ বা তার বেশি রান করেছেন।
৯০, ১৯০ ও ২৯০ এর ঘরে আউট হওয়া একমাত্র ব্যাটসম্য়ান
এটা বোধহয় একমাত্র সহবাগের পক্ষ্যেই করা সম্ভব। শুধু নব্বইয়ের ঘরেই নয়, তিনি টেস্টে ১৯০ ও ২৯০ এর ঘরেও আউট হয়ে ফিরেছেন। তবে কখনও আক্ষেপ করেননি।
টেস্টে ৯৯ রানে স্টাম্প আউট
২০১০ সালে টেস্টে ৯৯ রানে স্টাপ আউট হন সহবাগ। তাঁর আগে এই কৃতিত্ব ছিল পাকিস্তানের মকসুদ আহমেদ ও নিউ জিল্যান্ডের জন রাইটের।
একশো স্ট্রাইক রেটে সর্বাধিক শতরান
সহবাগ টেস্ট ম্যাচও খেলতেন একদিনের ম্যাচের মতোই। টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার তিনি একশো স্ট্রাইক রেটে শতরান ও দ্বিশতরান করার ক্ষেত্রেও তিনি স্ট্রাইক রেটে সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
ইনিংসের প্রথম বলে ছক্কা মেরে শুরু
২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের দেশে ৩৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে জেসন গিলেসপির প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান সহবাগ। তাঁর আগে ১৯৯২ সালে কিউয়ি মার্ক গ্রেটব্যাচ ওয়াসিম আক্রমকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এছাড়া ১৯৯৮ সালে ভারতের জাভাগল শ্রীনাথকেও একইভাবে ইনিংসের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিলো ওয়ালেস।