বিরাট হরভজনকে জানালেন মনের কোন কথা? সৌরভের তুলনা টেনে কোহলিকে নিয়ে বিস্ফোরক শেহওয়াগ
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যদি প্লে অফে উঠতে না পারে তাহলে চলতি আইপিএলে আজই শেষ ম্যাচ খেলছেন বিরাট কোহলি। আরসিবি জিতলে এবং দিল্লি হারলে অবশ্য ফাফ দু প্লেসির দল যেতে পারবে প্লে অফে। সেক্ষেত্রে অন্তত আরও একটি ম্যাচ পাবেন বিরাটরা। তবে আইপিএলের পর তিনি বিশ্রাম নেবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই হরভজন সিংকে মনের কথা জানালেন আরসিবি তথা ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
বিরাটের মোটিভেশন
বিরাট কোহলি নিজের ফর্ম নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। বরং মোটিভেশন খুঁজছেন দুটি টুর্নামেন্ট থেকে। স্টার স্পোর্টসে হরভজন সিংকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেন, আমি জানি কীভাবে নিজেকে মোটিভেট করতে হয়। চলতি দেশের হয়ে এশিয়া কাপ ও টি ২০ বিশ্বকাপ জিততে চাই। এটাই আপাতত আমার মোটিভেশন।
ভারসাম্যে জোর
বিরাট আরও বলেন, ভারসাম্য বজায় রেখেই আমাকে সামনের পরিকল্পনা করতে হবে। বিশ্রাম নিয়ে আরও বেশি শক্তি সঞ্চার করে সঠিক মানসিক গঠন নিয়ে নামলে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন নেই। এটা বেশ মজাদার বিষয়। আমার পরবর্তী লক্ষ্য দেশকে এশিয়া কাপ ও টি ২০ বিশ্বকাপ জেতানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখা। দলের স্বার্থে যে কোনও কিছু করতেই তিনি প্রস্তুত বলেও জানান বিরাট।
শাস্ত্রীয় পরামর্শ
প্রাক্তন ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী-সহ বিশেষজ্ঞরা আইপিএলের পর বিরাটকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বিরাট বলেন, অনেকে এমন পরামর্শ দিয়েছেন। তবে রবি ভাই (রবি শাস্ত্রী) গত ৬-৭ বছরে আমাকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছেন। তিনি আমার বাস্তব পরিস্থিতিও বুঝতে পারছেন। প্রচুর পরিমাণে ক্রিকেট খেলেছি। অনেক উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে। তিন ফরম্যাটে খেলা, ১০-১১ বছর ধরে আইপিএলে টানা অধিনায়কত্ব করার ধকল থাকে। নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হলে বিশ্রামের বিষয়টি নিঃসন্দেহে ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। ফলে বিশ্রাম নেওয়া এবং কখন তা নিতে হবে এ ব্যাপারে আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মানসিক ও শারীরিক হিসেবে পুনরায় শক্তি সঞ্চারের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। খেলা চালিয়ে যাওয়ার সময় শারীরিক ফিটনেস থাকেই। ফলে বিশ্রাম নিলে মানসিক স্বস্তি মেলে বলে দাবি করে বিরাট উল্লেখ করেন, জোর করে কিছুই করা উচিত নয়।
বিস্ফোরক বীরু
এরই মধ্যে স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে একটি অনুষ্ঠানে বিরাট কোহলিকে নিয়ে বীরেন্দ্র শেহওয়াগের মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অধিনায়কত্বের সঙ্গে বিরাটকে তুলনাতেই আনতে নারাজ বীরু। তিনি বলেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একটি নতুন দল গড়েছিলেন। নতুন ক্রিকেটারদের সুযোগ দিয়েছেন। তাঁদের পাশে থেকেছেন চড়াই-উতরাইয়ের সময়। কিন্তু কোহলি তেমনটা করেছেন কিনা তা নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে। উল্লেখ্য, শেহওয়াগ সৌরভ ছাড়াও ধোনির নেতৃত্বে খেলেছেন। বীরুর কথায়, এক নম্বর অধিনায়ক তিনিই যিনি দল গঠনের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করে থাকেন। কোহলি কয়েকজন প্লেয়ারের পাশে থাকলেও, কয়েকজনের পাশে থাকেননি।