এ ধরনের ক্যাচ হাতে জমে যায়, কেন এমন বললেন বিরাট কোহলি?
এ ধরনের ক্যাচ হাতে জমে যায়, কেন এমন বললেন বিরাট কোহলি?
তিরুবনন্তপুরমে ভারতের দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনাররা। ম্যাচের নায়ক লেন্ডল সিমন্স ও এভিন লুইসের মধ্যে ৭৩ রানের পার্টনারশিপ হয়। লুইস ৪০ রান করে আউট হওয়ার পর ক্রিজে নেমেই মারমুখী মূর্তি নেন শিমরোন হেটমের। তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৩ বলেই ২৩ রানে পৌঁছে যান তরুণ বাঁ-হাতি। ভারতীয় অল-রাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে তুলে মারতে গেলে লং অফ থেকে দৌড়ে এক হাতে হেটমেরের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
হেটমেরের ক্যাচ ধরে শরীরের ভারসাম্য হারান বিরাট। বাউন্ডারি লাইনের পাশেই পড়ে যান তিনি। তবে অসাধারণ দক্ষতায় বাউন্ডারি লাইন ছোঁয়া থেকে নিজেকে বাঁচান টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। তিরুবনন্তপুরমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারত ম্যাচ হারলেও বিরাট কোহলির ক্যাচ নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। কোহলির ওই ক্যাচের প্রশংসায় সরব ক্রিকেট দুনিয়াও। এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের ফিটনেস আইকন বিরাটই এভাবে ক্যাচ ধরতে পারেন, এমন রবও তুলেছেন নেটিজেনরা। যদিও ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাকি সদস্যদের শ্লথ ফিল্ডিং নিয়ে তীব্র আলোচনাও শুরু হয়েছে।
সেই বিতর্ক সরিয়ে তিরুবনন্তপুরমের ম্যাচ শেষে বিরাটকে ওই ক্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমে হেসে ফেলেন। বলেন, এধরনের ক্যাচ মাঝেসাঝে হাতে জমে যায়। তবে ক্যাচটি ধরার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন বলেই সাফল্য পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। দলের বাকি সদস্যদের অন-ফিল্ড ক্ষিপ্রতা বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন বিরাট। তাঁর কথায়, ফিল্ডিং ভালো না হলে বড় স্কোর ধরে রাখা মুশকিল।