বিরাট কোহলির ব্যাটিংয়ের সমালোচনায় ছোটবেলার কোচ, ঘুরে দাঁড়াতে দিলেন কোন পরামর্শ?
বিরাট কোহলির ব্যাটে টেস্ট শতরানের খরা অব্যাহত। তিন বছর সময় অতিক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে চার টেস্টের সিরিজে ফের সুযোগ আসবে কিং কোহলির জন্য। বাংলাদেশে দুটি টেস্টে বিরাট অন্তত একটি শতরান পাবেন বলে আশায় ছিসেন ভক্তরা। যদিও সকলকেই হতাশ হতে হয়েছে।
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বিরাট কোহলির টেস্ট পরিসংখ্যান হতাশাজনক। ৬টি টেস্টে ১১টি ইনিংসে ১ বার অপরাজিত থেকে মাত্র ২৬৫ রান করেছেন। সর্বাধিক ৭৯। ব্যাটিং গড় ২৬.৫০, স্ট্রাইক রেট ৩৯.৪৩। অর্ধশতরান একটি। চলতি বছর জানুয়ারিতে কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৭৯ রান করেছিলেন। তারপর থেকে বিরাটের রান যথাক্রমে ২৯. ৪৫, ২৩, ১৩, ১১, ২০, ১, অপরাজিত ১৯, ২৪ এবং ১। ২০২০ সালে তাঁর টেস্টে ব্যাটিং গড় ছিল ১৯.৩৩, পরের বছর ২৮.২১ এবং এ বছর ২৬.৫০। ২০১১ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ব্যাটিং গড় ছিল ২০২০ সালে। তারপরই রইল এবারেরটা।
বাংলাদেশে দুটি টেস্টে বিরাট তিনবারের মধ্যে দুবারই আউট হয়েছেন স্পিনারদের বলে। প্রথম টেস্টে তাইজুল ইসলাম। মীরপুরে বিরাটকে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের স্পিনারদের বিরুদ্ধে বিরাটকে যে অস্বস্তিতে পড়তে হলো তা মানতে পারছেন না ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা। তাঁর কথায়, বিরাট আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন। কিন্তু যেভাবে তিনি আউট হয়েছেন তা হতাশ করেছে। ইন্ডিয়া নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজকুমার আরও বলেন, বিরাট যেভাবে আউট হয়েছেন তা মানা যায় না। বাংলাদেশের স্পিনারদের বিরুদ্ধে রান পেতে যেভাবে তাঁকে লড়াই করতে হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক।
খোলা মনে বিরাটকে ব্যাটিং করার পরামর্শ দিয়ে রাজকুমার বলেছেন, মিড অন ও মিড অফের ফিল্ডাররা বৃত্তের মধ্যে থাকছেন। ফলে আরও স্বাধীনভাবে খেলতে হবে বিরাটকে। যতক্ষণ না স্পিনারদের ছন্দ নষ্ট করা হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা কিন্তু বিরাটকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেবেন না। ফলে স্লগ স্যুইপ বা অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্যুইপ মারতে হবে। এমন কোনও উদ্ভাবনী শট খেলতে হবে যাতে স্পিনারদের ছন্দ নষ্ট হয়।
এদিকে, বিরাট কোহলি বাংলাদেশ সফর সেরে মন জয় করে নিলেন বাংলাদেশের তারকা স্পিনার মিরাজের। মেহেদি হাসান মিরাজ এবার ব্যাটে-বলে ভারতকে বেশ বেগ দিয়েছেন। তাঁকে বিরাট একটি সীমিত ওভারের ম্যাচের জার্সি উপহার দেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের কাছ থেকে এই স্মারক পেয়ে আপ্লুত মেহেদি।