কন্যা ভামিকার জন্মদিনে কেপ টাউন টেস্টে নামবেন বিরাট কোহলি, ছিটকে গেলেন তারকা পেসার
কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে কাল থেকে সিরিজ নির্ণায়ক তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কথামতো আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরাট কোহলি। কন্যা ভামিকার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল। মেয়ের জন্মদিনেই তিনি ৯৯তম টেস্টে খেলতে নামবেন বলে জানিয়েছেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। তবে এখনও পুরো ফিট না হওয়ায় খেলতে পারবেন না মহম্মদ সিরাজ।
|
ফিরছেন বিরাট, নেই সিরাজ
আপার ব্যাক স্প্যাজমের কারণে জোহানেসবার্গ টেস্টে খেলতে পারেননি বিরাট কোহলি। ওই টেস্টেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লেগেছিল মহম্মদ সিরাজের। বিরাট কোহলি আজ জানিয়েছেন, আমি পুরোপুরি ফিট। সিরাজের চোট সারার পথে, তবে এখনও পুরো সারেনি। আমার ধারণা, সিরাজ এই টেস্ট খেলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। যে ফাস্ট বোলার ১১০ শতাংশ ফিট নন, তাঁকে নিয়ে ঝুঁকির প্রশ্ন নেই। ফলে সিরাজ ম্যাচ-ফিট না হলেও আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। তবে উমেশ যাদব না ইশান্ত শর্মা, কে ভারতের প্রথম একাদশে আসবেন সেটা খোলসা করেননি ভারত অধিনায়ক।
পূজারা-রাহানের পাশে
মিডল অর্ডারে চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানেকে সরিয়ে অন্যদের খেলানোর ভাবনা এখনই যে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের নেই সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিরাট। এর আগে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও বলেছিলেন, এখন ভারতীয় দলে যাঁরা সিনিয়র তাঁদেরও দলে জায়গা পাকা করতে রান করার পাশাপাশি অপেক্ষা করতে হয়েছিল। বিরাট বলেন, ট্রানজিশিন জোর করে হয় না। স্বাভাবিকভাবেই হয়। যেভাবে জোহানেসবার্গে পূজারা ও রাহানে খেলেছেন দ্বিতীয় ইনিংসে, তাঁদের সেই অভিজ্ঞতা দলের কাছে অমূল্য। বিশেষ করে এই ধরনের সিরিজে। কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা আগেও বিদেশে এমন ইনিংস খেলে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্স আমরা তাঁদের কাছে পেয়েছি, তা সে অস্ট্রেলিয়া সফরেই হোক বা আগের টেস্টে। বিরাট স্পষ্ট করে দেন, যখন দলের প্রয়োজন হবে সেই মতোই পরিবর্তনের তিনি পক্ষপাতী, জোর করে একেবারেই কিছু করতে চান না।
নিজেকে নিয়ে
২০১৯ সালের পর থেকে শতরান নেই বিরাট কোহলির ব্যাটে। তবে খারাপ সময় উদ্বিগ্ন করতে পারেনি ভারতের টেস্ট অধিনায়ককে। তাঁর সাফ কথা, এই প্রথম এমন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, বিষয়টি মোটেই তা নয়। বাইরে থেকে সকলে আমাকে যেভাবে দেখে, সেই লেন্স দিয়ে আমি নিজেকে দেখি না। আমাকে যে মানের সঙ্গে তুলনা করা হয় তা আমি নিজেই তৈরি করেছি। দলের জন্য কিছু করতে পারলে সবচেয়ে বেশি আমিই গর্বিত হই। খেলাধুলোয় অনেক সময় পরিকল্পনামাফিক সব কিছু হয় না। কিন্তু আমি মনে করি, গত বছর বা তারও আগে আমি ব্যাটার হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরেছি। সেগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সংখ্যা দিয়ে বিশ্লেষণ করলে যা খুশিও করে না। তবে আমি সেই মুহূর্তগুলি থেকেই অনেক গর্ব ও প্রেরণা লাভ করি। কারও কাছে আমার কিছু প্রমাণ করার নেই। সবমিলিয়ে বাইরে তাঁকে নিয়ে যে চর্চাই চলুক তাকে পাত্তা দিতে নারাজ বিরাট।
|
পেস অ্যাটাক ভরসা
২০১৮ সালে কেপ টাউনেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল জসপ্রীত বুমরাহর। ফের তিনি নিউল্যান্ডসে নামছেন, দলকে ঐতিহাসিক সিরিজ জেতানোর লক্ষ্যে। প্রোটিয়াদের দেশ থেকে ভারত কখনও টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরতে পারেনি। আবার কেপ টাউনে ভারত কখনও জেতেনি। তবে চাকা উল্টোদিকে ঘোরানোর জন্য বুমরাহ বিরাটের নিশ্চিতভাবেই বড় ভরসা।ভারতের পেস অ্যাটাক নিয়ে বিরাট বলেন, যখন আমি অধিনায়ক হয়েছিলাম তখন আমরা বিশ্বের সাত নম্বর টেস্ট দল ছিলাম। চার-পাঁচ বছর ধরে আমরা এক নম্বরে রয়েছি। প্রতি ম্যাচে প্রতিদিন হাই ইনটেনসিটি বজায় রেখে খেলায় জোর দিয়েছিলাম। নিজেদের সেরাটা যাতে দলগতভাবে দিতে পারি তা নিশ্চিত করেছি। আমাদের পেস আক্রমণ এখন এতটাই শক্তিশালী যে প্রতি ম্যাচের আগে ভাবতে হয় কাকে ছেড়ে কাকে খেলাব। এতে আমরা যেমন গর্বিত, তেমনই সাফল্যের পিছনে পেসারদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। রবীন্দ্র জাদেজার অনুপস্থিতি অলরাউন্ডার হিসেবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যেভাবে পুষিয়ে দিচ্ছেন তাতেও সন্তুষ্ট বিরাট।