কোহলির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গৌরবময় ১৪ বছর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের উদ্দেশে বিরাট বার্তা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ বছর পূর্ণ করলেন বিরাট কোহলি। ২০০৮ সালে আজকের দিনে ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। একদিনের আন্তর্জাতিকে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে করেছিলেন ২২ বলে ১২ রান। আজকের বিশেষ দিনে ইনস্টাগ্রামে কেরিয়ারের বিভিন্ন মুহূর্তের কোলাজ দিয়ে সাজানো ভিডিও পোস্ট করে কিং কোহলি লিখেছেন, দেশের হয়ে খেলতে পারা গৌরবের।
১৪ বছর পার
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে। তারপরই বিরাটের জন্য খুলে যায় জাতীয় দলের দরজা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে নুয়ান কুলশেখরার বলে ১২ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন বিরাট। তবে ম্যাচটি ভারত জিতেছিল ৮ উইকেটে। এরপর আর বিরাটকে ফিরে থাকাতে হয়নি। ক্রমান্বয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে ভারতীয় দলে নিজের জায়গা মজবুত করেন। দেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন।
বিরাটের পরিসংখ্যান
বিরাট কোহলির বয়স এখন ৩৩। ১০২টি টেস্টে ২৭টি শতরান ও ২৮টি অর্ধশতরান-সহ তিনি ৮০৭৪ রান করেছেন। ২৬২টি একদিনের আন্তর্জাতিকে বিরাটের রান ১২৩৪৪, ৪৩টি শতরান ও ৬৪টি অর্ধশতরান রয়েছে। ৯৯টি টি ২০ আন্তর্জাতিকে ৩০টি হাফ সেঞ্চুরি-সহ ৩৩০৮ রান করেছেন কিং কোহলি।
শরীরচর্চায় জোর
ইংল্যান্ড সফরের পর সপরিবারে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বিরাট। এশিয়া কাপে তিনি ছন্দে ফিরতে পারবেন কিনা সেদিকেই সকলে তাকিয়ে। ব্যাটিং দক্ষতার পাশাপাশি ফিটনেসও বিরাটের অন্যতম পজিটিভ ফ্যাক্টর। জিমে শরীরচর্চাতে স্বাভাবিকভাবেই তিনি জোর দিয়েছেন। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যাতে দেখা গিয়েছে ভারোত্তোলকদের মতো ভার তুলছেন বিরাট। সবমিলিয়ে টি ২০ বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপে ফর্মে ফিরতে মুখিয়ে রয়েছেন বিরাট নিজেও।
ফিটনেস-মন্ত্র
এরই মধ্যে একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ফিটনেস-মন্ত্র ভাগ করে নিয়েছেন বিরাট। তিনি বলেন, আগে ডায়েট বা ফিটনেসে মনোনিবেশ করতাম না। তবে গত কয়েক বছরে খাদ্যাভাসে বদল এনেছি, অনেক বেশি শৃঙ্খলা মেনে চলছি। খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকছি। কী করা উচিত আর কী নয়, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিয়েই এগোচ্ছি। প্রসেসড সুগার, গ্লুটেন এড়িয়ে চলছি। দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রীও যতটা সম্ভব বেশি এড়িয়ে চলছি। খাওয়ার সময় পাকস্থলীর ক্ষমতার ৯০ শতাংশ পরিমাণ খাওয়ার সুফল পাচ্ছি। আমি খেতে ভালোবাসি, কিন্তু যখন পরিমিত খাবার খেয়ে শরীরের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি, তখন সেটাই মেনে চলি। হেল্দি থাকা অনেকটা নেশার মতো।
লোকেশ রাহুল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ODI-এ টস জিতে ফিল্ডিং নিলেন, দুই দলের একাদশে রয়েছেন কারা?