৫০০তম জয়ে দেখা গেল বিজয়ের বীরত্ব! বিশ্বকাপ-দলের দৌড়ে একসঙ্গে চাপে পড়লেন ৩ ক্রিকেটার
দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের শেষ ওভারে জয়ে বিজয় শংকরের বীরত্বে একসঙ্গে চাপে পড়লেন ৩ ক্রিকেটার।
নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওডিআই ম্য়াচে শেষ ওভারে ৮ রানে জয় পেয়ে ৫০০তম একদিনের ম্যাচ জিতল ভারত। আর এই ম্যাচে জন্ম হল এক নয়া তারকার। শতরান করে ম্য়াচের সেরার পুরস্কারটা বিরাট কোহলি জিতলেন বটে, কিন্তু সমর্থকদের হৃদয় জিতে নিলেন বিজয় শঙ্কর।
প্রথমে ৭৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছে এই অবস্থায় ক্রিজে এসে ব্যাট হাতে করলেন ৪১ বলে ৪৬ রান। দুর্ভাগ্যজনক রানৃ-আউট না হলে এদিন একটি বড় ইনিংস খেলতেনই। তারপর বল হাতে ১ ওভারে ১৩ রান দিয়েও শেষ ওভারে ফিরে এসে ৩ বলের মধ্যে সেট ব্যাটসম্যান স্টইনিস ও অ্যাডাম জাম্পার উইকেট তুলে নিয়ে অলআউট করে দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে।
ব্য়াট বলে এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মোটামুটিভাবে বিশ্বকাপের দলে নিজের জায়গা পাকা করে ফেললেন তিনি। বিশ্বকাপের দলে জায়গাকে বাজি রেখে অনেক বড় বড় বোলারই স্টইনিসের সামনে শেষ ওভার করতে পিছিয়ে যেতেন। এই দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় দিয়ে একই সঙ্গে ৩জন ক্রিকেটারকে চাপে ফেলে দিলেন তিনি।
ঋষভ পন্থ
বিশ্বকাপের দলে বেশ কয়েকটি জায়গার জন্য ভাবা হয়েছিল পন্থকে - দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক, তৃতীয় ওপেনার, ব্য়াক আপ মিডল অর্ডার ব্য়াটস্য়ান। কিন্তু ক্রমশ তাঁর সামনে দরজাটা ছোট হয়ে আসছে। ব্য়াট হাতে তাঁর চেয়ে অনেক বেশি পরিণতি দেখিয়েছেন সঙ্কর। সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বিকল্পদের সুযোগ দিতে পারে ভারত। টি২০-র ফর্ম ওয়ানডেতে দেখাতে পারলে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে জায়গা পাকা হবে রাহুলের। তিনি দ্বিতীয় উইকেটরক্ষকের কাজও সামলে দিতে পারবেন।
আম্বাতি রায়ডু
চলতি সিরিজে দুটি ম্যাচেই ব্যর্থ রায়ডু। সাম্প্রতিককালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ৯০ রানের ইনিংস ছাড়া ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছেন এমনটা দেখা যায়নি। ৪ নম্বরে তিনি কিন্তু এখনও ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নন। অপরদিকে নিউজিল্যান্ড থেকেই ধারাবাহিকভাবে শঙ্কর দেখাচ্ছেন আগ্রাসনের সঙ্গে ইনিংস গড়ার ক্ষমতাও রয়েছে তাঁর। সেই সঙ্গে স্পিনের বিরুদ্ধেও স্বচ্ছন্দ। অর্থাত মিডল অর্ডারের হাল ধরার মতো মশলা তাঁর মধ্যে মজুত। তার সঙ্গে বোলিং জুড়লে তাঁর দাবি কিন্তু রায়ডুর থেকে জোরালো হতে পারে। সিরিজের বাকি ম্য়াচে রায়ডু রান না পেলে কিন্তু, সমীকরণটা পাল্টে যেতেই পারে।
হার্দিক পাণ্ডিয়া
চোট পাওয়াটাই না কাল হয়ে দাঁড়ায় হার্দিকের। এমনিতেই মাঠের বাইরের বিতর্কে সমর্থকদের কালো খাতায় নাম উঠেছে তাঁর। সেই সঙ্গে বিজয়ের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের পর, জোরে বোলার অলরাউন্ডারের যে রিজার্ভ সিট ছিল তাঁর প্রথম একাদশে, তা কিন্তু আরএসি-তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আর কোনও ম্যাচ নেই হার্দিকের হাতে। অপরদিকে বিজয় আরও ৩টি ম্য়াচ পাচ্ছেন, ব্যাটে বলে নির্বাচক ও টিম ম্য়ানেজমেন্টকে প্রভাবিত করার।