IND vs SA: টি-২০’র পর একদিনের দলে অভিষেক আইয়ারের, আইপিএল-ই ঘুরিয়ে দিল ভাগ্যের চাকা
টি-২০’র পর একদিনের দলে অভিষেক আইয়ারের, আইপিএল-ই ঘুরিয়ে দিল ভাগ্যের চাকা
আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে অনবদ্য পারফরম্যান্সের সুবাদে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের জন্য ভারতীয় দলে প্রথম ডাক পেয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। টি-২০ দলে অভিষেকের পর এ বার ভারতের জার্সিতে মধ্যপ্রদেশের এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারের অভিষেক ঘটল একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ওপেন করলেও ভারতের হয়ে একদিনের দলে ছয় নম্বরে ব্যাটিং করতে হবে আইয়ারকে। মূলত হার্দিক পান্ডিয়ার জায়গায় শ্রেয়াসকে ব্যবহার করতে চাইছে দল। চোটের কারণে দীর্ঘদিন প্রথম একাদশের বাইরে হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর পারফরম্যান্সের গ্রাফও খুব একটা আহামরি নয়। এই অবস্থায় ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে ষষ্ঠ বোলার এবং নির্ভর যোগ্য ব্যাটসম্যানের খোঁজে রয়েছে ভারতীয় দল। আইয়ারের মধ্যে দিয়ে অলরাউন্ডারের অভাব মেটানো যায় কি না, সেই দিকেই এখন নজর টিম ম্যানেজমেন্টের। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে খুব বেশি ওডিআই ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে না ভারতীয় দল। তাই এখন থেকেই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে প্রথম একাদশ সেট করার পথে হাঁটছে বিসিসিআই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আইয়ারের পারফরম্যান্সের উপর টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনার একটা বড় অংশ নির্ভর করবে।
আইয়ারের চওড়া ব্যাটের উপর নির্ভর করেই মূলত আইপিএল-এর দ্বিতীয় পর্বে পিছন থেকে ঝড়ের গতিতে উঠে আসে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের ঘুম ছোটানোর পাশাপাশি বোলিং করেও কেকেআর-কে উইকেট তুলে দিয়েছিলেন আইয়ার। দশ ম্যাচে কেকেআর-এর হয়ে ৪১.১১ গড়ে ব্যাটিং করেছেন আইয়ার।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমবার ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর এই প্রতিবেদককে আইয়ার বলেছিলেন, "ভারতের দলে সুযোগ পাওয়া খুশি অবশ্যই তিনি কিন্তু দলের প্রয়োজনে সেরাটা দিতে পারলে সব থেকে বেশি খুশি হবেন তিনি।" পাশাপাশি রাহুল দ্রাবিড়ের মতো তারকার অধীনে খেলার জন্যও তিনি কতটা উদগ্রীব ছিলেন তা বোঝা গিয়েছিল তাঁর কথা থেকে। মধ্যপ্রদেশের ব্যাটিং অলরাউন্ডার বলেছিলেন, "রাহুল স্যারের (রাহুল দ্রাবিড়) মতো কিংবদন্তির অধীনে থেকে নিজেকে মেলে ধরার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।"
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টি-২০ ম্যাচেই খেলেছিলেন। তিন ম্যাচে তাঁর মোট সংগ্রহ ছিল ৩৬ রান এবং একটি উইকেট। প্রথম ম্যাচে আইয়ারের ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ৪ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচে করেছিলেন ২০ রান এবং নিয়েছিলেন একটি উইকেট। তিন ম্যাচের মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচে বোলিং করার সুযোগ পাননি তিনি।