ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ! আইসিসি-র পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়া লক্ষ্য
ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ! আইসিসি-র পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়া লক্ষ্য
বিশ্বায়নের দৌলতে ক্রিকেটও ক্রমে জনপ্রিয় হচ্ছে আমেরিকায়। ফলে এখন না হলেও কিছু বছর পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড। একই সঙ্গে আইসিসি-র পূর্ণ সদস্যপদ পেতেও মরিয়া আমেরিকার ক্রিকেট বোর্ড।
আমেরিকা ক্রিকেটের হাল-হকিকত
১৮৪৪ সালে আমেরিকায় প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হলেও প্রায় দেড় শতকেরও বেশি সময় ধরে এই খেলার প্রতি উদাসীনই থেকেছেন সে দেশের মানুষ। ফলে বাইশ গজের খেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে কোনওদিনই জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। তা বলে সে দেশে থেমে থাকেনি ব্যাট-বলের ঠুকঠাক। আইসিসি-র সহকারি সদস্য হিসেবে ১৯৭৯ সাল থেকে আট বার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে অংশ নিয়েছে আমেরিকা। ২০০১ সালে সপ্তম স্থান দখল করেছিল তারা। সেই বছরের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পঞ্চম স্থান দখল করেছিল মার্কিন মুলুক।
আমেরিকার স্থান
বর্তমানে আইসিসি প্রকাশিত ওয়ান ডে ক্রম তালিকার ১৯তম স্থানে অবস্থান করছে আমেরিকা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাদের স্থান ৩৪। এখনও পর্যন্ত ১৫টি আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ৬টিতে জয় হাসিল করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। অন্যদিকে আটটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ২টি জিতেছে আমেরিকা। দলের বর্তমান অধিনায়ক ও কোচের নাম যথাক্রমে সৌরভ নেত্রাভালকার ও জে অরুণ কুমার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
আমেরিকা ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ ইয়াইন হিগিংসের কথায়, তাঁদের দেশে ক্রমে জনপ্রিয় হচ্ছে বাইশ গজের খেলা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের ২০ ওভারের ক্রিকেটের চাহিদা বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন ইয়াইন হিগিংস। তাই আগামী দিনে মার্কিন মুলুকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব বলে মনে করেন সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচেই দর্শকরা মাঠ ভরাবেন বলেও আশা ইয়াইন হিগিংসের। তাঁর দাবি, বিশ্বের যে প্রান্তেই বিশ্বকাপ হোক, আমেরিকার ক্রিকেটপ্রেমীরা সেখানে ভিড় জমিয়েছেন।
ভারত বনাম পাকিস্তান
বিশ্বের যে প্রান্তেই ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ হোক, মাঠ ভর্তি করেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এই ম্যাচের আবেগ এমন যে টিভি-র সামনে থেকে নড়তে পারেন না আট থেকে আশি। সেই উন্মাদনা আমেরিকার বুকে দেখতে চান সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ ইয়াইন হিগিংস।
আইসিসি-র পূ্র্ণ সদস্যপদ
বর্তমানে আইসিসি-র সহকারি সদস্য হয়ে রয়েছে আমেরিকা। কারণ ক্রিকেট পরিকাঠামোর দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। আগামী দশ বছরের মধ্যে সব হার্ডেল অতিক্রম করে আইসিসি-র পূ্র্ণ সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আমেরিকা ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ ইয়াইন হিগিংস। এর জন্য মার্কিন মুলুকে ৬টি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট মাঠ তৈরির উদ্যোগ চলছে বলে জানানো হয়েছে।