উমরান মালিকের চ্যালেঞ্জ শোয়েব আখতারকে! ভারতীয় স্পিডস্টার ঠিক করে ফেললেন কোন রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্য?
উমরান মালিক যখনই একেকটি ডেলিভারি করেন তখন সকলেরই নজর চলে যায় বলের গতির দিকে। ঘণ্টায় ১৫০-১৫৫ কিলোমিটার বেগে হামেশাই বল করেন। তাঁর গতি আইপিএলেও চমকে দিয়েছিল অনেককেই। ভারতীয় পেসার হিসেবে আইপিএলে দ্রুততম বলটি করার রেকর্ডও উমরানের দখলে। এবার তিনিই চিন্তা বাড়িয়ে দিলেন শোয়েব আখতারের।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে নজরে উমরান
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কাল থেকে ভারত তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজ খেলতে নামছে। এরপর রয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজও। দুটি সিরিজের দলেই রাখা হয়েছে উমরান মালিককে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের টি ২০ বিশ্বকাপে উমরানের গতি হতে পারে ভারতের বড় অস্ত্র। সেইমতোই সিনিয়রদের সরিয়ে তরুণ পেসারদের উপর আস্থা রাখতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই বোলারদের মধ্যে অন্যতম উমরান।
আইপিএলে নজরকাড়া পারফরম্যান্স
গত আইপিএলে উমরান মালিক ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট পেয়েছিলেন। তাঁর গতি, ইয়র্কার নাজেহাল করে ছেড়েছে বিশ্বের তাবড় ব্যাটারদের। গত জুনে উমরানের টি ২০ আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। গত নভেম্বরে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। গত জুলাইয়ে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টি ২০ খেলেছেন। ওডিআই খেলেছেন সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে। ৫টি একদিনের আন্তর্জাতিকে উমরানের সাতটি উইকেট রয়েছে। ৩টি টি ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে পেয়েছেন ২টি উইকেট। ৩৩টি টি ২০ ম্যাচে উমরানের উইকেটের সংখ্যা ৪৫। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাত ম্যাচে ১২টি এবং ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৮ ম্যাচে ৯টি উইকেট রয়েছে বছর তেইশের এই কাশ্মীরি পেসারের।
শোয়েবের সঙ্গে তুলনা
উমরানের গতি দেখে তাঁর সঙ্গে তুলনা হয় শোয়েব আখতারের। শোয়েব আখতার ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি বল করেছিলেন যার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার। উমরান মালিক আইপিএলে সবচেয়ে দ্রুতগতির যে ডেলিভারিটি করেছিলেন তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৭ কিলোমিটার। আইপিএল ফাইনালে উমরানের দ্রুততম বলের রেকর্ডটি ভেঙেছিলেন গুজরাত টাইটান্সের লকি ফার্গুসন। তাঁর একটি বলের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৭.৩ কিলোমিটার।
দ্রুততম বলের রেকর্ড গড়তে চান কাশ্মীরের পেসার
সকলেই প্রতীক্ষায় উমরান ভেঙে দিন শোয়েব আখতারের সবচেয়ে জোরে বলের রেকর্ড। উমরান নিউজ ২৪-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আপাতত আমার একটাই লক্ষ্য দেশের হয়ে ভালো খেলা। সেটা করতে পারলে এবং ভাগ্য সহায়তা দিলে শোয়েব আখতারের রেকর্ডটিও ভাঙতে পারব। কিন্তু এখন সেটা নিয়ে ভাবছি না। কতটা জোরে বল করলাম তা ম্যাচের সময় বুঝতে পারি না। পরে জানতে পারি কত বেগে বল করেছি। ম্যাচ চলাকালীন আমার ফোকাস থাকে সঠিক জায়গা বল ফেলে উইকেট তুলে নেওয়া।