রঞ্জির ফাইনালে পিচের উভয় প্রান্তে একই আম্পায়ার, কিন্তু কেন?
রঞ্জির ফাইনালে পিচের উভয় দিকে একই আম্পায়ার, কিন্তু কেন?
১৩ বছর পর রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে বাংলা। ৩০ বছর পর ট্রফি জয়ের হাতছানি মনোজ তিওয়ারি, ঋদ্ধিমান সাহাদের কাছে। সেই ম্যাচেই সৌরাষ্ট্রের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাংলা। আগে ব্যাট করে ৪২৫ রান করে সৌরাষ্ট্র। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে অভিমন্যু ইশ্বরনরা। একই সঙ্গে এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষীও হল এবারের রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল।
রিয়াল এস্টেট
নোট বাতিলের ফলে শহরের রিয়াল এস্টেট ব্যবসা নিঃসন্দেহে মার খাবে। বিশেষ করে মাইক্রো মার্কেটে এর প্রভাব জারি থাকবে। জমি-বাড়ির ক্যাপিটাল ভ্যালু কমবে।
প্রথম দিনের ঘটনা
গত সোমবার শুরু হয় রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল। ঘরের মাঠ রাজকোটে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে সৌরাষ্ট্র। ওপেনার হার্ভিক দেশাই ও অভি বারটের মধ্যে ৮২ রানের পার্টনারশিপ হয়। ৫৪ রান করে আউট হন অভি। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা বিশ্বরাজ জাদেজাও সৌরাষ্ট্রের হয়ে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলার পেসার আকাশ দীপের বলে তিনি বোল্ড হন। ঠিক তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
হিরে ও অন্যান্য রত্ন
এই বাজারে নগদ বেশ কার্যকর ছিল। কারণ যারা রত্ন অথবা হিরে কাটে অথবা পালিশ করে তাদের নগদে টাকা দিতে হতো। ফলে এর বাজার বেশ মার খেয়েছে। এর পাশাপাশি ছোট গহনা ব্যবসায়ীরাও মার খেয়েছে। তবে আগামিদিনে এর বাজার চাঙ্গা হবে আশা করা যায়।
কী ঘটেছিল সেদিন
উইকেট পতনের পর খেলা থামলে, বাংলার এক ফিল্ডার স্কোয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা আম্পায়ার সি শামসুদ্দিনের দিকে বল পাঠান। অন্যমনস্ক থাকায়, তা টের পাননি ওই আম্পায়ার। ফলে বল গিয়ে তাঁর শরীরের নিচের অংশ আঘাত করে। যন্ত্রণা নিয়েই প্রথম দিনে ঠায় আম্পায়ারিং করেন শামসুদ্দিন। রাতে তাঁর তলপেটে অসম্ভব যন্ত্রণা অনুভূত হয়। এন্ডোস্কোপির পর শামসুদ্দিনকে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। ফলে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন তিনি রাজকোটে আর আম্পায়ারিং করতে নামেননি।
সিমেন্ট
রিয়াল এস্টেট সেক্টরের ওঠানামার উপরে এই সেক্টরের ভবিষ্যত নির্ভর করে। কারণ মোট উৎপাদনের ৬০-৬৫ শতাংশ সিমেন্ট এই কাজেই ব্যবহৃত হয়। এই সময়ে রিয়াল এস্টেট ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ায় এই ব্যবসাও মার খেয়েছে।
উভয় প্রান্তে একই আম্পায়ার
বিসিসিআই-র রুল বুক অনুযায়ী রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল পরিচালনা করবেন এমন দুই আম্পায়ার যাঁরা ম্যাচ খেলা দুই রাজ্যের প্রতিনিধি নন। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে চোটগ্রস্ত সি শামসুদ্দিনের পরিবর্তে মাঠে নামা পীয়ূষ কক্কর স্থানীয় আম্পায়ার হওয়ায় তাঁকে স্কোয়ার লেগে দাঁড়িয়েই দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে সেদিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত পিচের দুই প্রান্তেই আম্পায়ারিং করতে হয় অনন্তপদ্মনাভনকে। যদিও ওই সেশনের পর সি শামসুদ্দিনের পরিবর্তে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করতে নামেন তৃতীয় আম্পায়ার এস রবি। চোটগ্রস্ত শামসুদ্দিন তখন তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকা পালন করেন।
ভোগ্যপণ্য
ভোগ্যপণ্যের ৭৫ শতাংশই নগদে কেনাবেচা হয়। এই মুহূর্তে কিছুটা সমস্যা হলেও আগামিদিনে পেমেন্ট মোড পরিবর্তিত হলে তা ফের চাঙ্গা হবে বলে মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
পরিবর্ত কে
রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনার জন্য তৃতীয় দিনেই মুম্বই থেকে আম্পায়ার যশবন্ত বরদেকে সৌরাষ্ট্রে উড়িয়ে আনা হয়। কেএন অনন্তপদ্মনাভনের সঙ্গে তিনিই ম্যাচ পরিচালনা করছেন।
খুচরো ব্যবসা
শপিং মল, বড় দোকানগুলিতে ব্যবসা ভীষণভাবে মার খেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবং তা অবশ্যই সত্যি কথা। তবে অদূর ভবিষ্যতে গ্রাহকেরা দোকানমুখী হবেন ও চাহিদা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে দামী কেনাকাটার ক্ষেত্রে বৃদ্ধি চোখে পড়তে পারে।
প্রশ্ন উঠছে
রঞ্জি ট্রফির মতো দেশের হাই প্রোফাইল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা কেন ঘটবে, প্রশ্ন তুলছেন ক্রিকেট মহল। এর জবাবে বিসিসিআই-র একটা অংশের তরফে জানানো হয়েছে, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার রাখার লিখিত নিয়ম নেই। তবে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এ ব্যাপারে বিসিসিআই-তে আলোচনা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
স্টিল
এই সেক্টরও রিয়াল এস্টেট ব্যবসার উপরে অনেকটা নির্ভরশীল। স্টিল উৎপাদনের ৩০-৩৫ শতাংশই রিয়াল এস্টেট ব্যবসায় কাজে লাগে। ফলে ব্যবসা ধাক্কা খেলেও সিমেন্ট ব্যবসার মতো নেতিবাচক প্রভাব এই সেক্টরে পড়েনি।
ব্যাঙ্ক
ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা জমা পড়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে আগামিদিনে কতটা সুফল তোলা যায় সেদিকেই সকলের নজর থাকবে।
অটোমোবাইল
সাধারণ গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই নগদে প্রথমে পেমেন্ট করা হয়। সেটা অনেক সময়ই মোটা অঙ্কের টাকা হয়ে থাকে। ফলে বড় গাড়ি তো বটেই বিশেষ করে দু'চাকার গাড়ির ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছে।
বিমান
ভারতে সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতলয়ে বিমানে যাতায়াত বাড়ছে। নোট বাতিলের প্রভাব এইক্ষেত্রে বিমানে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও পড়েছে তা স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়।
পর্যটন
পর্যটন শিল্পে নোট বাতিল বড় ধাক্কা দিয়েছে। এর ফলে অনেকেই ভ্রমণ বাতিল করেছেন। এছাড়া যারা অদূর ভবিষ্যতে ভ্রমণ করবেন ভাবছিলেন তারা অনেকটা পিছিয়ে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা করছেন। ফলে অন্তত ১০-১৫ শতাংশ হারে ব্যবসা মার খেয়েছে, এমনটা বলাই যায়।
ই-কমার্স
ই-কমার্স কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্ট হলেও অনেকটা অংশই নগদে পেমেন্ট হতো। শতাংশের বিচারে যা ২৫-৩০ শতাংশ। নোট বাতিলের ধাক্কায় তা ধাক্কা খেয়েছে।