Asia Cup: এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের স্মরণীয় পাঁচ ঘটনা
Asia Cup: এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পাঁচটি স্মরণীয় মুহূর্ত
মাঝে মাত্র আর একটা দিন তারপর দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ম্যাচে মাঠে নামতে চলেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান। বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ম্যাচে নামার আগে দেখে নেওয়া যাক দুই দেশের খেলার এমন কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত বা ঘটনা যা এই দুই দেশের ম্যাচকে বারবার রোমাঞ্চকর, উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে।
এশিয়া কাপ ২০১২-এ বিরাট কোহিলর ১৮৩ এবং ভারতের অনবদ্য জয়:
এশিয়া কাপ ২০১২-এর স্মৃতি কখনওই মনে রাখতে চাইবেন না ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকেরা। কিন্তু এই এশিয়া কাপ দু'টি কারণে মনে থাকবে। একটি সচিন তেন্ডুলকরের শততম আন্তর্জাতিক শতরান এবং দ্বিতীয়টি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির অনবদ্য ১৮৩ রানের ইনিংস এবং ভারতের দাপুটে জয়। মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনবদ্য ১৮৩ রানের যে ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি তা এখনও এশিয়া কাপের ইতিহাসে অন্যতম সেরা হয়ে রয়ে গিয়েছে। গৌতম গম্ভীর দ্রুত আউট হওয়ার পর কোহলির ইনিংসই ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৩ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় ভারত। ছয় উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় ভারত। কোহলির অনবদ্য শতরান ছাড়াও এই ম্যাচে অর্ধ-শতরান করেন সচিন তেন্ডুলকর এবং রোহিত শর্মা।
এশিয়া কাপ ২০১০-এ হরভজনের ম্যাচ জেতানো ইনিংস:
বহু অসাধারণ স্পিনার বিশ্ব ক্রিকেটকে উপহার দিয়েছে ভারত, তার মধ্যে অন্যতম হরভজন সিং। যে ভাবে ক্রিকেটের ইতিহাসের বেশ কিছু মহা তারকা ব্যাটসম্যাকে ভাজ্জি বিপাকে ফেলেছেন এবং তাঁদের উইকেট সংগ্রহ করেছেন তা দেখলে চোখের আরাম হয়। কিন্তু ২০১০ এশিয়া কাপে হরভজনের ব্যাটিং দক্ষতার সাক্ষী থেকেছিল গোট বিশ্ব চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিরুদ্ধে। ২৬৮ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তখন ভারতের রান ২১৯/৬। এই অবস্থায় সুরেশ রায়নার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৪৩ রানের পার্টনারশিপ খেলেন তিনি।
এশিয়া কাপ ২০০৪-এ ইরফান পাঠানের অনবদ্য পারফরম্যান্স:
২০০৪ এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতীয় দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরাস্ত হলেও নজর কেড়েছিলেন ইরফান পাঠান। সেই সময়ে ইরফান পাঠানের নাম ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে ভারতীয় ক্রিকেট সার্কিটে। তাঁর সুইং এবং বোলিং-এর ধার প্রশংসিত হচ্ছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের কাছে। এমন বোলারকে তুলে এনে জাতীয় দলে খেলানোর জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ট্রেডমার্ক জহুরির চোখের প্রশংসাও হচ্ছে সর্বোত্র। এমন আবহেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বোলিং-এ আগুন ঝড়ালেন ইরফান। বল হাতে ১০ ওভারে ৫২ রান খরচ করে তুলে নেন তিন উইকেট। ব্যাট হাতেও নিজের দক্ষতার পরিচয় রেখেছিলেন তরুণ পাঠান। তিনি করেছিলেন ৩৮ রান, তবে শেষ পর্যন্ত শোয়েব আখতারের বলে আউট হন তিনি।
এশিয় কাপ ২০১৪-এ পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরানো শাহিদ আফ্রিদির ইনিংস:
মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের এই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। ২৪৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল পাকিস্তান। মহম্মদ হাফিজের করার ১১৭ বলে ৭৫ রানের ইনিংস-এর উপর ভর করে ভাল শুরু করলেও পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা দলকে বিপাকে ফেলে দেয়। এই অবস্থায় শেষ ১৮ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন আফ্রিদি। শেষ ওভারে প্রথম বলেই সাইদ আজমল আউট হওয়ায় আরও চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। শেষ ওভারে ১০ রান তাড়া করতে হত পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতার জন্য। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শেষ ওভারে পর পর দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতান শাহিদ আফ্রিদি।
এশিয়া কাপ ২০০৪-এ শোয়েব মালিকের অবদ্য ১৪৩ রানের ইনিংস:
এই এশিয়া কাপে পাকিস্তানের টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডার কোনও বিভাগই ঠিক মতো রান তুলতে পারেনি। একমাত্র ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়িয়ে খেলেছিলেন শোয়েব মালিক। এই ম্যাচে ১৪৩ রানের ইনিংস খেলেন শোয়েব। সচিন তেন্ডুলকর এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অনবদ্য খেললও ভারতীয় দলের অপর ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ম্যাচটি হারে ভারত।
India vs Pakistan: বিরাট না বাবর, কাকে বল করা কঠিন? উত্তর দিলেন রশিদ খান