
রবি শাস্ত্রীর পরিবর্ত হিসেবে সৌরভের পছন্দে সায় নেই বিসিসিআইয়ের অনেকের, কোচের দৌড়ে টম মুডি
টি ২০ বিশ্বকাপের পরই ঢেলে সাজানো হবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফ। হেড কোচ ও সাপোর্ট স্টাফে বদল আসছে। এরই মধ্যে ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ হিসেবে কাকে দেখা যেতে পারে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিরাট কোহলিদের কোচ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন টম মুডি। একইভাবে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পছন্দে সায় নেই অনেক বোর্ডকর্তার।

রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলের কোচ হতে চাইছেন না এখনই। তিনি বেঙ্গালুরুতে ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমিতেই থাকতে চান। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে অনিল কুম্বলেকে কোচ করার জন্য স্বয়ং উদ্যোগ নেন সৌরভ। কিন্তু বোর্ডের অনেকেরই তাতে আপত্তি। জানা গিয়েছে, অনিল কুম্বলে যখন ভারতের কোচ ছিলেন তখনকার অনেকেই বর্তমান দলে রয়েছেন। বিশেষ করে, বিরাট কোহলির সঙ্গে সম্পর্ক যে জায়গায় পৌঁছেছিল তাতে কুম্বলেও নাকি এখন কোচ হতে চাইছেন না। ভিভিএস লক্ষ্মণকেও হেড কোচের পদে বসানোয় সায় নেই অনেকের। লক্ষ্মণ নিজেও ধারাভাষ্যের কাজের পাশাপাশি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গেও যুক্ত। ভারতীয় দলের পাশাপাশি পাঞ্জাব দলের কোচ হিসেবেও আহামরি রেকর্ড নেই কুম্বলের। ফলে তাঁর ফের কোচ হিসেবে টিম ইন্ডিয়ায় প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

সূত্রের আরও খবর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বীরেন্দ্র শেহওয়াগ নাকি ভারতীয় দলের কোচ হতে আগ্রহী। কিন্তু হেড কোচ হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই। মহম্মদ কাইফ ফিল্ডিং কোচ হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে হে়ড কোচের দৌড়ে যাঁদের নাম ভেসে বেড়াচ্ছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম টম মুডি। ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে অবশ্য তাঁর নাম গত ১৫-১৬ বছর ধরে ঘুরেফিরে এসেছে অনেকবার। ২০০৫ সালে গ্রেগ চ্যাপেল যখন কোচ হন তখনও টম মুডির নাম জল্পনায় ছিল। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে তিনি কোচ হতে আগ্রহ দেখালেও শেষ অবধি কোচ হতে পারেননি তিনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে কোচের দায়িত্বে ছিলেন, এখন আইপিএলের হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট। মুডির কোচিংয়ে সানরাইজার্স আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়, চারবার প্লে অফ খেলে। শ্রীলঙ্কা দলের প্রাক্তন কোচ মুডিকে চলতি বছরেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের ডিরেক্টর পদে বসানো হয়। তবে মুডি এখনও চাইছেন ভারতীয় দলের কোচ হতে। টম মুডির কোচিংয়ে ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনালেও খেলেছিল।

২০১৬ সালে সানরাইজার্স আইপিএল খেতাব জেতে মুডির কোচিংয়ে। ২০২০ সালের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের সঙ্গে না থাকলেও চলতি বছরেই অরেঞ্জ আর্মির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট নিযুক্ত হন। এবার সানরাইজার্স ট্রেভর বেলিসের কোচিংয়ে আইপিএলে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। অষ্টম স্থানে থেকে শেষ করেছে, ১৪টি ম্যাচে জয় মাত্র তিনটিতে। সানরাইজার্সেই মুডির সঙ্গে রয়েছেন লক্ষ্মণও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকেই। তবে লক্ষ্মণের চেয়ে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকবেন মু়ডিই। আর মাসখানেকের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বিরাট-রোহিতদের হেডস্যর কে হচ্ছেন।