জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙায় শ্রীলঙ্কার তিন ক্রিকেটার ১ বছর নির্বাসিত, বিশাল জরিমানাও
ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ শেষ হতেই তিন প্রথম সারির ক্রিকেটারকে ১ বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠাল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। ইংল্যান্ড সফরের মাঝপথে জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল দানুষ্কা গুণতিলকা, কুশল মেন্ডিস ও নিরোশন ডিকওয়েলাকে। তাঁদেরই এবার দৃষ্টান্তমূলক কড়া শাস্তি দেওয়া হল।
এর ফলে শ্রীলঙ্কার প্রথম সারির তিন ক্রিকেটার এ বছরের টি ২০ বিশ্বকাপও খেলতে পারবেন না। আগামী বছরেরও অনেকটা সময় তাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরেই থাকবেন। শুধু তাই নয়, এই তিনজন ৬ মাস ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। প্রত্যেককেই প্রায় ৫০ হাজার ডলার বা শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় ১০ মিলিয়ন টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন ক্রিকেটারকেই আরও দুই বছরের জন্য প্রবেশনে থাকতে হবে। ফের এমন অপরাধ করলে আবারও এক বছরের নির্বাসনের মুখে পড়তে হবে।
তবে আরও বড় শাস্তির খাঁড়া ঝুলছিল শ্রীলঙ্কার এই তিন ক্রিকেটারের মাথার উপর। কেন না, শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচাপতি নিমল দিসানায়কার নেতৃত্বে যে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল ইংল্যান্ডে জৈব সুরক্ষা বলয়ের ঘটনার তদন্তের জন্য সেই কমিশন সুপারিশ করেছিল গুণতিলকা ও মেন্ডিসকে দুই বছর ও ডিকওয়েলাকে ১৮ মাসের জন্য নির্বাসনে পাঠাতে। এর আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গুণতিলকা দুবার নির্বাসিত হয়েছিলেন। মেন্ডিস গত বছর গাড়ি চালাতে গিয়ে এক পথচারীকে পিষে দেন। ডিকওয়েলার বিরুদ্ধে অবশ্য আগে কোনও অভিযোগ ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিন ক্রিকেটারকেই সমান শাস্তিই দিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।
২৭ জুন শ্রীলঙ্কার ওই তিন ক্রিকেটারকে ডারহামের মার্কেটপ্লাসে অনেক রাতে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তা জানতে পারেন ইংল্যান্ডে থাকা শ্রীলঙ্কার টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনকী গভীর রাতে হোটেলে ফিরেও মেডিক্যাল স্টাফ-সহ কাউকেই কিছু জানাননি ওই ক্রিকেটাররা। রাত সাড়ে ১০টার পর শ্রীলঙ্কার কাউকে বাইরে থাকা এমনিতেই নিষিদ্ধ। তার উপর করোনা পরিস্থিতিতে জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ হন এই তিন ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা দলেও থাবা বসায় করোনা। গুণতিলকা শ্রীলঙ্কার সীমিত ওভার ক্রিকেটে নিয়মিত ওপেনার, কুশল মেন্ডিস দলে কামব্যাক করেছিলেন। ডিকওয়েলা টেস্ট দলের এক নম্বর উইকেটকিপার। এই তিন ক্রিকেটারের নির্বাসন বড় ধাক্কা মেনেও কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হল না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। গুণতিলকা, ডিকওয়েলা ও মেন্ডিসের এখন বয়স যথাক্রমে ৩১, ২৯ ও ২৭। ফলে এই নির্বাসন তাঁদের কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার মতো অবশ্যই নয়।