আইপিএল ফাইনালের পর কি ঘুম আসবে কলকাতা নিবাসী এই দুই জনের
কলকাতার স্বপ্নভঙ্গ করে এলিমিনেটর থেকে বিদায় নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এবারের আইপিএল-এর শুরু থেকে দুরন্ত খেলে আসা কেকেআর-এর এলিমিনেটর থেকে বিদায়ে আপশোষের সীমা ছিল না। কেকেআর ভক্ত বাঙালিদের হা-হুতাশ লেগেই ছিল। তবে, পুনে দলে থাকা দুই বাঙালি প্রতিনিধির কথা ভেবে কিছুটা ধরে প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন কেকেআর ভক্তরা। এঁদের সকলেরই আশা ছিল এলিমিনেটরে যেভাবে কলকাতাকে হারতে হয়েছে মুম্বইয়ের কাছে, তার বদলা ফাইনালে নিয়ে নেবে দুই বাঙালি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এবং মনোজ তিওয়ারি।
কেকেআর ভক্তদের মধ্যে তাই অনেকে রবিবার আইচপিএল ফাইনালে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টকেই সমর্থন করছিলেন। কিন্তু, যেভাবে মাত্র ১ রানে মুম্বইয়ের কাছে হারতে হল তাতে হতাশা গোপন করতে পারছে না কেকেআর ভক্তরাও।

সবচেয়ে বেশি হতাশা তৈরি হয়েছে মনোজের হঠকারিতা দেখে। খেলায় তখন রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত। ২০ তম ওভারের প্রথম বলেই মনোজ যেভাবে মিচেল জনসনকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান তাতে যেন জেগে উঠেছিল পুনের সমর্থনকারীরা। কিন্তু, পরের বলেই ছয় মারার চক্করে প্রি-মেরিটেড শট খেলে ক্যাচ আউট মনোজ। যারা ভেবেছিলেন মনোজের ব্যাট জনসনকে দেখাবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের তেজ সেখানে স্নায়ুরচাপে তাঁর দুর্বল শট দেখে অনেকেই হতাশায় চোখ বন্ধ করে নেন। মনোজ যদি একটু স্নায়ুর চাপ নিতে পারতেন তাহলে হয়তো কলকাতার বুকে আজকের রাতটা উৎসবের হয়ে উঠতে পারত।
কারণ, আইপিএল ট্রফিটা যদি পুনের নামে লেখাও থাকত তাতে বাঙালির একটাই স্বান্তনা হতে পারত, কেকেআর পারেনি তো কী হয়েছে মনোজ তো পেরেছেন। মনোজের পাশাপাশি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ভূমিকাতেও অনেকে হতাশ। আপার অর্ডারে গুটি কতক ব্যাটসম্যান ছাড়া রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টের মিডল অর্ডার কখনই ব্যাটে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। পুনে দলের অ্যতম কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা যদি আপার অর্ডারের সঙ্গে সঙ্গে মিডল অর্ডারেও ভাল ব্যাটসম্যান নেওয়ার দিকে নজর দিতেন তাহলে হয়তো রবিবার ট্রফি হাতছাড়া হয় না বলেও এখন মনে করছেন কেউ কেউ। তারপরে এবার আইপিএল শুরুর মুহূর্তে ধোনিকে অধিনায়কত্ব থেকে ছেটে ফেলে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ভুল করেছেন বলেই দাবি। কারণ, অধিনায়ক ধোনি বিপক্ষের কাছে কতটা ভয়ঙ্কর তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কলকাতার নামে দল আছে। সেই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সঞ্জীবের দল। আইপিএলে গতবার আবির্ভাব হয়েছে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টদের। এবারের আইপিএল তাঁদের দ্বিতীয়। কিন্তু সেখানে দ্বিতীয় বর্ষেই আইপিএল-এর ফাইনালে ওঠা কম কৃতিত্বের নয়। সুতরাং, আইপিএল-এর ট্রফিটা সেক্ষেত্রে হয়তো কলকাতাতে আসতে পারত। সঞ্জীব নিজে হয়তো সেকথা ভালমতনই খেয়াল করছেন!