সব বাধা পেরিয়ে ছোটা শুরু শ্রেয়সের, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল ৬ সেকেন্ডের ভিডিও
সব বাধা পেরিয়ে ছোটা শুরু শ্রেয়সের, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল ৬ সেকেন্ডের ভিডিও
কাঁধে অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে নিজেকে গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। আগামী জুলাইয়ের শ্রীলঙ্কা সফরকে মাথায় রেখে হালকা ছলে ফিটনেস ট্রেনিংও শুরু করে দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার ডান হাতি ব্যাটসম্যান। যাঁর ৬ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। প্রিয় ক্রিকেটারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফ্যানরা।
শ্রেয়স আইয়ারের দৌড় শুরু
গত এপ্রিল মাসে কাঁধে অস্ত্রোপচারের পর দীর্ঘদিন বিশ্রামে ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। সেই তাঁকেই আবার স্বমহিমায় দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই নিজের ৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শ্রেয়স। সেখানে তাঁকে লম্বা স্প্রিন্ট নিতে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে ক্রিকেটারের বাণী 'নো অ্যাঙ্করস টু হোল্ড ব্যাক' নেটিজেনদের বেশ মনে ধরেছে।
শ্রীলঙ্কা সফরে ফিরতে পারবেন শ্রেয়স
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ভিডিও-তে শ্রেয়স আইয়ারের মধ্যে যে একগ্রতা নজরে পড়েছে, তাতে তিনি দ্রুত ফিট সার্টিফিকেট পাবেন বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। আগামী জুলাইতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেই দলে শ্রেয়স আইয়ারকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কোনও কারণ থাকবে না বলেও মনে করা হচ্ছে। যদিও তার আগে ভারতের ডান হাতি ব্যাটসম্যানকে ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
অধিনায়ক হতে পারেন শ্রেয়স
যে সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা, তখন ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে ব্যস্ত থাকবেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা। ফলে রথী-মহারথীদের ছাড়াই দ্বীপরাষ্ট্রের দেশে ক্রিকেট খেলতে যাবে টিম ইন্ডিয়ার বি টিম। শ্রেয়স আইয়ার ফিট হয়ে গেলে তাঁকেই ওই দলের নেতা নির্বাচন করা হতে পারে বলে বিসিসিআই সূত্রের খবর। কিন্তু ওই মুম্বইকর ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হতে না পারলে শিখর ধাওয়ান ও হার্দিক পান্ডিয়ার মধ্যে যে কোনও একজনকে দলের নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
নেতা শ্রেয়সের সফলতা
২০১৮ সালের মাঝপথে দিল্লি ক্যাপিটালসের (তৎকালীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস) অধিনায়ক হয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। টুর্নামেন্টের ২০১৯ সালের সংস্করণে দলকে প্লে-অফে তুলেছিলেন দক্ষ মুম্বইকর। ২০২০ সালের আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছেছিল শ্রেয়সের দিল্লি ক্যাপিটালস। ফলে ২৬ বছরের ক্রিকেটারের নেতৃত্বের দক্ষতার ওপর আস্থা রাখতে চাইছে বিসিসিআই, এমনই খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে।