IPL: ভিভো এখন অতীত, আইপিএল-এর নয়া স্পনসর টাটা গোষ্ঠী
মেয়াদ শেষ হচ্ছে ভিভোর, আগামী বছর থেকে আইপিএল-এর নয়া স্পনসর টাটা গোষ্ঠী
এ বার আর ভিভো নয়, আইপিএল-এর নতুন মূল স্পনসর হিসেবে দেখা যাবে টাটা গোষ্ঠী'কে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই কথা জানিয়েছেন আইপিএল-এর চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেল। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইপিএল-এর প্রধান স্পনসর হিসেবে বিসিসিআই-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিল ভিভো।
২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে তৈরি হওয়া বিবাদের জেরে এক বছর মূল স্পনসর হয়েও সরে দাঁড়ায় চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। মঙ্গলবার আইপিএল-এর গভার্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে মূল স্পনসর বদলের এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পিটিআই-কে ব্রিজেশ পটেল বলেছেন, "হ্যাঁ, আইপিএল-এর মূল স্পনসর হিসেবে আসছে টাটা গ্রুপ।"
২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইপিএল-এর মূল স্পনসর হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য ২২০০ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে ভিভো'কে। ২০২০ সালে ভারত-চিনের সীমান্তে তৈরি হওয়া বিবাদের জেরে সরে দাঁড়িয়েছিল ভিভো। সেই বছর আইপিএল-এর টাইটেল স্পনসর হিসেবে এসেছিল ড্রিম ইলেভেন। এক বছরের বিরতির পর ফের ২০২১ সালে আইপিএল-এর মূল স্পনসর হিসেবে প্রত্যাবর্তন ঘটে চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার। কিন্তু এখনও এক বছরের চুক্তি বাকি থাকলেও সরে দাঁড়াল ভিভো।
এক সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যম'কে বোর্ডের এক আধিকারিক বলেছেন, "কিছু আগে বা কিছু পরে, এটাই হওয়ার-ই ছিল। ভিভোর উপস্থিতি লিগের জন্য, এমনকী ওই সংস্থার উপরও খারাপ বিজ্ঞাপন ছিল। চিনা দ্রব্য'কে ঘিরে মানুষের মনে যে মনোভাব তৈরি হয়েছে তাতে স্পনসরশিপ থেকে সরে আসতেই হতো এই সংস্থা'কে।"
যদিও এই পরিবর্তনের ফলে আর্থিক ভাবে কোনও ক্ষতি হবে না বিসিসিআই-এর। এই বছরের জন্য বার্ষিক স্পনসরশিপে ৪৪০ কোটি টাকা পাওনা বোর্ডের। নতুন স্পনসর'কে এখন এই টাকা দিতে হবে। স্পনসরশিপের পঞ্চাশ শতাংশ বিসিসিআই নিজের কাছে রাখে এবং বাকি টাকা অংশগ্রহণকারী ফ্রাঞ্চাইজিগুলির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। এত দিন বাকি পঞ্চাশ শতাংশ টাকা আটটি ফ্রাঞ্চাইজি পেয়ে এলেও এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন দু'টি দল। মোট দশটি ফ্রাঞ্চাইজি এই টাকা এ বার পাবে। এক বছরের জন্যই টাটা গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই। ২০২৩ থেকে শুরু হতে চলা পরবর্তী বছরগুলিতে স্পনসরশিপের জন্য নতুন করে টেন্ডার ডাকতে হবে বোর্ড'কে।
এপ্রিল মাসের ২ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে আইপিএল-এর। কিন্তু ক্রমবর্ধমান কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বোর্ড। ডবল হেডার কমানোর জন্য এক সপ্তাহ আগিয়েও নিয়ে আসা হতে পারে আইপিএল। অপর দিকে, ফেব্রুয়ারি মাসে'র দ্বিতীয় সপ্তাহে আইপিএল-এর পঞ্চদশ সংস্করণের মেগা নিলাম আয়োজিত হওয়ার কথা রয়েছে।