ভারত থেকে টি ২০ বিশ্বকাপ সরছে ধরেই প্রস্তুতি আইসিসি-র
ভারত থেকে টি ২০ বিশ্বকাপ সরছে। তেমনটাই ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আইসিসি। আইপিএলের বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে হবে বলে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের চতুর্থ কেন্দ্র হিসেবে তৈরি রাখা হচ্ছে ওমানের মাসকটকে। চলতি মাসের শেষেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কথা রয়েছে।
টি ২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিসিসিআইকে ২৮ জুন অবধি সময় দিয়েছে আইসিসি। ভারতে করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বিসিসিআইয়ের। এরই মধ্যে আইপিএলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বিসিসিআইয়ের শীর্ষকর্তারা দুবাই গিয়েছেন। টি ২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারেও কথাবার্তা চলছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর পাশাপাশি ওমানের মাসকটেও বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচ আয়োজন করতে আইসিসি যে আগ্রহ প্রকাশ করছে তাতেও বিসিসিআই মৌখিক সম্মতি দিয়ে রেখেছে বলে বোর্ড সূত্রে খবর।
১৬ দলের টি ২০ বিশ্বকাপে প্রাথমিক রাউন্ডের কিছু খেলা ওমানে হতে চলেছে। তার বড় কারণ, ১ অক্টোবরের মধ্যে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড ও বিসিসিআই দুবাইয়ের স্টেডিয়াম আইসিসি-র হাতে বিশ্বকাপের জন্য তুলে দিতে পারবে না। কারণ, সেখানে আইপিএলের খেলা হবে। এ ব্যাপারেও বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আইসিসি সহযোগিতাই করছে বলে সূত্রের খবর। আবার এমন ভাবনাও আসছে যদি বিসিসিআই শুধু দুবাইয়ে আইপিএল আয়োজন না করে আবু ধাবি ও শারজাতেও খেলার ব্যবস্থা রাখে তাহলে কিছুতেই নভেম্বরের আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে টি ২০ বিশ্বকাপের খেলা হতে পারবে না। তার কারণ ৩১টি আইপিএল ম্যাচের পর পিচ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করতেও সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে ১০ অক্টোবর আইপিএল শেষ হলে আরও তিন সপ্তাহের মধ্যে পিচ সম্পূর্ণভাবে গ্লোবাল ইভেন্টের মতো করা সম্ভব হবে। অবশ্য শুধু দুবাইয়েই আইপিএল হলে তেমন কোনও সমস্যা হবে না।
আইপিএলের অভিজ্ঞতা থেকে বেশি ঝুঁকি নিতেও রাজি নন বিসিসিআই কর্তারা। সকলে ভালোই জানেন, বর্ষা নয় কোভিড পরিস্থিতির জন্যই আইপিএল সরানো হয়েছে ভারত থেকে। এখনও যা সংক্রমণের পরিস্থিতি তাতে ২৮ জুন যদি বিসিসিআই বলেও যে বিশ্বকাপ আয়োজন ভারতে সম্ভব, তাহলেও অক্টোবরে কী পরিস্থিতি থাকবে কেউ জানে না। বিদেশিরা অনেকেই আইপিএল খেলবেন, তাঁরাও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেই খেলতে পছন্দ করবেন। আইপিএল ৮ দলের, টি ২০ বিশ্বকাপ ১৬ দলের। ফলে যদি কোনওভাবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে সংক্রমণ ছড়ায় তাহলে ছোট দেশগুলির পক্ষে বিকল্প ক্রিকেটার উড়িয়ে আনা সম্ভব নয়। সর্বোপরি অনেক দেশই ভারতের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি দেখে ভারতে আসতে চাইছে না।